স্বাধীনতা দিবসের জন্য সীমান্তে লাগাতার নাকা চেকিং, কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ ও বিএসএফ


রাত পেরোলেই পালিত হবে ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা দিবসের জন্য বসিরহাট মহাকুমার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলকায় নাকা চেকিং পুলিশ ও বিএসএফের। ইতিমধ্য়েই বিএসএফের ও পুলিশ কড়া নজরদারি শুরু করেছে।  

/ Updated: Aug 14 2020, 05:42 PM IST
Share this Video
  • FB
  • TW
  • Linkdin
  • Email

রাত পেরোলেই পালিত হবে ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা দিবসের জন্য বসিরহাট মহাকুমার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলকায় নাকা চেকিং পুলিশ ও বিএসএফের। ইতিমধ্য়েই বিএসএফের ও পুলিশ কড়া নজরদারি শুরু করেছে।  যাতে কোনও জঙ্গী সংগঠন কোনও রকম বিস্ফোরন ঘটাতে না পারে, সে জন্য পুরো সীমান্ত এলাকার খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখা চলছে। বিএসএফের ও পুলিশ নজরদারি শুরু করেছে স্বরূপনগর সীমান্ত থেকে শুরু করে হিঙ্গলগঞ্জ সামসেন পর্যন্ত। মোট ২৯৫ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকার মধ্যে স্থল পথ রয়েছে ১৪০ কিলোমিটার এবং জলপথ ১৫৫ কিলোমিটার। তাই সমানভাবে জল ও স্থল পথে নজরদারি শুরু করেছে। চলছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর টহল। সীমান্তের জিরো পয়েন্ট রাস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের বিধিনিষেধ জারি করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। 


 বিএসএফের পক্ষ থেকে চলছে নাকা চেকিং। বসিরহাটের সীমান্তবর্তী গ্রাম পানিতর, ঘোজাডাঙ্গা,তারালী, হাকিমপুর সহ বিভিন্ন সীমান্ত  যাওয়া-আসার পথে নাশকতা যাতে না ঘটাতে পারে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন । পাশাপাশি রাজ্য পুলিশ ইছামতি ব্রিজ, বনবিবি সেতু,  কাটাখালি ব্রিজ গুলোতে শুক্রবার সকাল থেকে কড়া নজরদারি শুরু করেছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জিরো পয়েন্ট গুলোতে কোথাও বা কাঁটাতার আবার কোথাও বা কাঁটাতার নেই। এছাড়া বেশ কিছু জায়গা জলপথে ব্যবহার করছে চোরাচালানকারী থেকে শুরু করে যে জঙ্গিরা। হিঙ্গলগঞ্জের  রায়মঙ্গল,  কালিন্দী সহ বিভিন্ন নদী তে  স্পিডবোটে পাহারা দিচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। নদীর ধারে বাঁধের উপরেও চলছে কঠোর পাহারা। সন্ধ্যে নামতেই চোরাপথ গুলি ব্যবহার করে জঙ্গী সংগঠন থেকে শুরু করে চোরাচালানকারীরা। আর সেই সব জায়গায় ১৫ আগস্ট এর আগে সীমান্তরক্ষী বাহিনীরা দিনরাত এক করে কঠোর নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলেছে । যাতে এদেশে ঢুকে জঙ্গী সংগঠনের কোনও রকম ভাবে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে, সেদিকে কঠোর দৃষ্টি রেখেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীরা।