রাত পোহালেই ফের ফিরবে স্কুলের প্রাণ
করোনা ভয় কাটিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি খুলছে স্কুল। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে স্কুল স্যানিটাইজেশনের কাজ। বারাসাত কালীকৃষ্ণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়েও দেখা গেল একই ছবি। আবারও স্কুলের প্রাণ ফিরবে, বললেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। করোনার কথা মাথায় রেখে স্কুলে মাস্ক বাধ্যতামূলক।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আগামী তেসরা ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্কুলের দরজা খুলে গেল। আবারো স্কুলে ফিরবে প্রাণ বললেন বারাসাত কালীকৃষ্ণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী সেনগুপ্ত। মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানান, ৩ তারিখ থেকে স্কুল খোলার নির্দেশিকা পুরোপুরি ঠিক নয়। স্কুল আমাদের খোলাই ছিল। আমি এবং কয়েকজন স্ট্যাফ প্রতিদিন এসেছি এবং দিদিমনিরা ৫০ শতাংশ করে উপস্থিত ছিল। স্কুল খুলছে কথাটা ঠিক নয় তবে স্কুলের প্রাণ যারা তারা ফিরে আসছে ৩ তারিখ। বিগ্রহ ছাড়া মন্দির, ছাত্রী ছাড়া স্কুল আমাদের একদম ভালো লাগতো না, আমাদের মনে সেই আনন্দ ছিল না। মেয়েরা আসছে জেনে মনে আনন্দ হচ্ছে। স্কুলের ছাত্রীদের করোনার ভয় নিয়ে তিনি বলেন, কার যে কখন করানো হচ্ছে বোঝা মুশকিল। নিজের সমস্ত রকম সাবধানতা অবলম্বন করার পরও দুবার করোনা হয়েছে। করোনা যে কিভাবে হবে তা ডাক্তাররাও সঠিকভাবে বলতে পারেনা। সাবধানতা মেনে আসতে হবে। আমরা স্কুলের সমস্ত বিল্ডিং স্যানিটাইজাড করিয়েছি। ঘর ও ক্লাস এর বেঞ্চ পরিষ্কার করা হচ্ছে। আগামীকাল আবারো এই কাজ আরএকবার করা হবে। পাশাপাশি স্কুলে প্রবেশের সময় ছাত্রীদের স্যানিটাইজার করার ব্যবস্থা রয়েছে। ছাত্রীদের নোটিশে জানানো হয়েছে যাতে প্রত্যেকের ব্যাগে স্যানিটাইজার ও মাস্ক যাতে থাকে এবং প্রত্যেকে মাস্ক পরে আসবে। পাশাপাশি তিনি জানান, শিক্ষিকাদের কাছে ইতিমধ্যেই সরকারি নির্দেশিকাগুলি পাঠানো হয়েছে। তারা সেই মতন চলবেন এবং কোভিড বিধি কে মানতা দেবেন, বললেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী সেনগুপ্ত।