টেরাকোটা শিল্প বাঁচিয়ে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ, পুরুলিয়ায় চলছে টেরাকোটার প্রদর্শনী
ধুঁকছে বাঁকুড়ার বিখ্যাত টেরাকোটা শিল্প। টেরাকোটা শিল্পকে বাঁচাতে বিশেষ উদ্যোগ টেরাকোটা শিল্পীর। ভাস্কর ঘোষের উদ্যোগে শুরু হয়েছে টেরাকোটা প্রদর্শনী। টেরাকোটা শিল্পকেই তুলে ধরা হয়েছে এই বিশেষ প্রদর্শনীর মাধ্যমে। পুরুলিয়ায় চলছে টেরাকোটার এই প্রদর্শনী।
ক্রমশ বিলুপ্তির পথে টেরাকোটা শিল্প।বাংলার বাঁকুড়া জেলায় টেরাকোটা শিল্প প্রসার লাভ করলেও পুরুলিয়া জেলায় পোড়া মাটির এই শিল্পের এখন আর সেরকম কদর নেই।টেরাকোটা শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে পুরুলিয়ার প্রখ্যাত টেরাকোটা তথা ভাস্কর্য্য শিল্পী ভাস্কর ঘোষের উদ্যোগে শুরু হল টেরাকোটা প্রদর্শনী। ভাস্কর ঘোষের সংস্থা সৃষ্টি বৈচিত্রর উদ্যোগে সংস্থার ছাত্রীদের নিয়ে আয়োজিত হল টেরাকোটা কর্মশালা।ভাস্কর্য্য শিল্পী ভাস্কর ঘোষ জানান।বর্তমানে টেরাকোটার অবস্থা খুবই খারাপ।বাঁকুড়ায় টেরাকোটার কাজ হলেও।পুরুলিয়াই এটা প্রথম বার হচ্ছে। ভারতবর্ষে একমাত্র গোরখ পুর এবং রাজস্থানের মুলালা গ্রামের টেরাকোটার তৈরি জিনসি বিদেশে রপ্তানি হলেও দেশের কোথাও সেভাবে আর টেরাকোটা শিল্পের কদর নেই। যে সমস্ত টেরাকোটা শিল্পীরা ছোট ছোট কাজ করছে তারা এখন ধুঁকছে। তার কারন বাজারে প্লাস্টিকের জন্য টেরাকোটার কদর একবারে কমে গেছে। প্লাস্টিক সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে।টেরাকোটায় খরচা বেশি এবং সময় সাপেক্ষ। আগুনে পোড়ানো, মাটির দাম, পারিশ্রমিক এসবের পরেও দাম নেই। তবু আমি পুরুলিয়ায় টেরাকোটার শিল্পকে উন্নত জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। মানুষ যদি বাড়িতে টাইলস ব্যবহার না করে টেরাকোটার টাইলস লাগায় তাহলে তা যেমন দেখতে সুন্দর হবে সেরকম হবে পরিবেশ বান্ধব।এই বিষয়টাকেই তুলে ধরার চেস্টা করা হচ্ছে বলে জানান টেরাকোটা শিল্পী ভাস্কর ঘোষ। টেরাকোটার ছাত্রী ত্রনিষ্ঠা বক্সী জানান।টেরাকোটার কাজ শিখতে পেরে খুব ভালো লাগছে।পুরুলিয়ায় টেরাকোটার কাজ প্রথমবার হচ্ছে।পড়াশোনা পাশাপাশি জীবনে প্রথমবার টেরাকোটার কাজ করছি,সত্যিই খুব অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে।এটাকে পেশা হিসেবে নিয়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে।