জানলা-দরজা দিয়ে ঝুলছে দেহ, রায়গঞ্জে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করল জেলা প্রশাসন
রায়গঞ্জে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করল জেলা প্রশাসন। উত্তর দিনাজপুরের জেলা শাসক অরবিন্দ মীনা এই সংখ্যাকে নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে- বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে ৩ জনের পরিচয় জানা সম্ভব হয়। প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে ঝাড়খণ্ডের পাকুর থেকে লখনউগামী একটি দূররপাল্লার বাস উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের রূপাহারে নয়ানজুলিতে উল্টে পড়ে। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে প্রাথমিক উদ্ধার কাজ শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকল, পুলিশ বাহিনী ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল। কয়েক জন বাস যাত্রী-র অভিযোগ, চালক মত্ত অবস্থায় ছিল। ইটাহারে অন্য একটি বাসকেও ধাক্কা মারে। এরপর চালক বাসের গতি বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল। সেই সময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে পরে যায়। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা যাচ্ছিল না যে ঠিক কতজন বাসের নিচে আটকে ছিল। গভীররাতে বাসটিকে ক্রেন দিয়ে নয়ানজুলি থেকে টেনে তুলতেই বেশকিছু মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাত সাড়ে দশটনা নাগাদ আচমকাই বিকট আওয়াজ। এরপর তারই ছুটে এসে নয়ানজুলিতে পড়ে থাকা বাসটিকে দেখতে পান। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য বর্ষাকালে বিপদ জনক হয়ে রয়েছে রাস্তা। দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ চললেও এখন পর্যন্ত মাত্র ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ কাজ হয়েছে বলে অভিযোগ। জাতীয় সড়কের বেহাল দশা দুর্ঘটনার আশঙ্কাকে বাড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ। বাস দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রায়গঞ্জ পুরসভার অতিরিক্ত চেয়ারম্যান অরিন্দম সরকার। দুর্ঘটনার জন্য তিনি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেন। বৃহস্পতিবার সকালে নয়ানজুলির যে অংশে খাল গভীর আকার নিয়েছে সেখানে ডুবরি নামানো হয়। খালের ওই অংশে কেউ আটকে আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে ডুবরি। পুলিশ সূত্রে খবর এখন বাসের চালক বা কন্ডাক্টর অথবা খালাসি কারও কোনও সন্ধান মেলেনি।
রায়গঞ্জে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করল জেলা প্রশাসন। উত্তর দিনাজপুরের জেলা শাসক অরবিন্দ মীনা এই সংখ্যাকে নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে- বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে ৩ জনের পরিচয় জানা সম্ভব হয়। প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে ঝাড়খণ্ডের পাকুর থেকে লখনউগামী একটি দূররপাল্লার বাস উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের রূপাহারে নয়ানজুলিতে উল্টে পড়ে। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে প্রাথমিক উদ্ধার কাজ শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকল, পুলিশ বাহিনী ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল। কয়েক জন বাস যাত্রী-র অভিযোগ, চালক মত্ত অবস্থায় ছিল। ইটাহারে অন্য একটি বাসকেও ধাক্কা মারে। এরপর চালক বাসের গতি বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল। সেই সময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে পরে যায়। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা যাচ্ছিল না যে ঠিক কতজন বাসের নিচে আটকে ছিল। গভীররাতে বাসটিকে ক্রেন দিয়ে নয়ানজুলি থেকে টেনে তুলতেই বেশকিছু মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাত সাড়ে দশটনা নাগাদ আচমকাই বিকট আওয়াজ। এরপর তারই ছুটে এসে নয়ানজুলিতে পড়ে থাকা বাসটিকে দেখতে পান। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য বর্ষাকালে বিপদ জনক হয়ে রয়েছে রাস্তা। দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ চললেও এখন পর্যন্ত মাত্র ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ কাজ হয়েছে বলে অভিযোগ। জাতীয় সড়কের বেহাল দশা দুর্ঘটনার আশঙ্কাকে বাড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ। বাস দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রায়গঞ্জ পুরসভার অতিরিক্ত চেয়ারম্যান অরিন্দম সরকার। দুর্ঘটনার জন্য তিনি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেন। বৃহস্পতিবার সকালে নয়ানজুলির যে অংশে খাল গভীর আকার নিয়েছে সেখানে ডুবরি নামানো হয়। খালের ওই অংশে কেউ আটকে আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে ডুবরি। পুলিশ সূত্রে খবর এখন বাসের চালক বা কন্ডাক্টর অথবা খালাসি কারও কোনও সন্ধান মেলেনি।