অনেকবার বিমানে যাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মাঝ আকাশে অনেকের মৃত্যুও হয়েছে। এক্ষেত্রে আপনার করণীয় কী জেনে নিন।
বিমানে কোনও যাত্রীর শরীর খারাপ হলে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। উড়ানে থাকা চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীর সাহায্য চাওয়া হয় এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
সাধারণত, ফ্লাইটের ক্রু-মেম্বাররা কোনও যাত্রীকে মৃত ঘোষণা করতে পারেন না। এই কাজটি শুধুমাত্র কোনও চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী করতে পারেন।
যদি উড়ানে কোনও চিকিৎসক না থাকেন, তাহলে কারও মৃত্যু হলে পাইলট এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাঁদের পরামর্শ নেন।
যদি কোনও যাত্রীর অবস্থা গুরুতর হয়, তাহলে কাছাকাছি কোনও বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করা যেতে পারে। তবে যদি কোনও যাত্রীর আগেই মৃত্যু হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে জরুরি অবতরণ হয় না।
অনেক হাইটেক ফ্লাইটে কর্পস লকার নামে একটি জায়গা থাকে, যেখানে মৃতদেহ সসম্মানে রাখা হয়। এটা না থাকলে, মৃতদেহ ফাঁকা আসনে রেখে সিটবেল্ট লাগিয়ে বা বিজনেস ক্লাসে শুইয়ে দেওয়া হয়।
বিমান অবতরণের পর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে যাত্রীর মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়। পরিবার বা কাছের মানুষদের দ্রুত জানানো হয় এবং স্থানীয় আইন অনুযায়ী মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়।
যদি সম্ভব হয়, তাহলে মৃতের পাশে বসা যাত্রীদের সরানো যেতে পারে। তবে অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের বাকি রাস্তা মৃতদেহ ঢাকা অবস্থায় পাশে নিয়েই যেতে হতে পারে।
বিমান সংস্থা সাধারণত উড়ানে কোনও যাত্রীর মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকে না। যতক্ষণ না কোনও অবহেলা প্রমাণিত হয়। তবে মৃতের পরিবারের জন্য কিছু নিয়ম আছে।
উড়ানে মৃত্যু বিরল। তবে সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে লখনউ বিমানবন্দরে আসা এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে বিহারের এক ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এরকম আরও কিছু ঘটনা ঘটেছে।