জোজিলা টানেলের নির্মাণ কাজ দেখলেন মন্ত্রী

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকরি সোমবার ১৩ সদস্যের সংসদীয় কমিটির সঙ্গে জোজিলা টানেলের নির্মাণ কাজ খতিয়ে দেখলেন।

জম্মু ও কাশ্মীর থেকে লাদাখের মধ্যে সংযোগকারী রাস্তা। যা যে কোনও অবহাওয়াতেই বন্ধ হবে না। কারণ শীতকালে এখনও বন্ধ হয়ে যায় জোজিলা পাস।

কেন্দ্রীয়মন্ত্রী জানিয়েছেন কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারি পর্যন্ত সড়ক পথে সংযুক্ত করা কেন্দ্রীয় সরকারের স্বপ্ন। এটি তারই একটি অঙ্গ। টালেনটি ঐতিহাসিক বলেও জানিয়েছেন তিনি।

জেড-মোরহ টানেল, যা গগনগিরকে সোনামার্গের সাথে সংযুক্ত করে এবং মধ্য কাশ্মীরের গান্ডারবাল জেলার রিসর্টে সর্ব-আবহাওয়া সংযোগ প্রদান করে, এই বছরের অক্টোবরে উদ্বোধন করা হবে।

গডকরি বলেছেন, এটি ভারতের গুরুত্বপূর্ণ টানেল। সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য এশিয়ার সর্বোচ্চ। টানেলের দৈর্ঘ্য ১১,৫০০ ফুট।

শ্রীনগর থেকে কারগিল-লেহ পর্যন্ত রাস্তার ১১৫৭৮ ফুট উঁচুতে জোজিলা পাস। এটি শীতকালে তুষারপাতের কারণে বন্ধ থাকে। কাশ্মীর-লাদাখ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। টানেল চালু হলে আর হবে না।

মধ্য কাশ্মীরের গান্দেরবাল জেলার বালতাল থেকে লাদাখের কার্গিল জেলার দ্রাস শহরের মিনিমার্গ পর্যন্ত একক টিউব জোজিলা সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্যে ১৩ কিলোমিটার। ১৮ কিলোমিটাপের অ্যাপ্রোচ রোড রয়েছে

টানেল নির্মাণে খরচ হয়েছে ১২০০০ কোটি টাকা। যদিও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে ৫ হাজার কোটি টাকা খরচ কমানো গিয়েছে। হিমাঙ্কের ২৬ ডিগ্রি নিচেও নির্মাণ কাজ হয়েছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন ৩৮ শতাংশ কাজ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে একটি অংশ উদ্বোধন করা সম্ভব বলেও জানিয়েছেন।

জোজিলা টানেল কাশ্মীর ও লাদাখের পর্যটকদের আকর্ষণ আরও বাড়াবে। তিন থেকে চার শতাংশ পর্যটন বৃদ্ধি পাবে। আশা প্রকাশ করেছেন নীতিন গডকরি।