২০২২ সাল ছিল বিশ্বের উষ্ণতম বছরগুলির মধ্যে অন্যতম। এটি ছিল রেকর্ড করা পঞ্চম বা ষষ্ঠ উষ্ণতম বছর, যেখানে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ১.১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গিয়েছিল
গত বছর ছিল লা নিনার বিরল তৃতীয় বছর। স্টেট অব গ্লোবার ক্লাইমেট ২০২২ বলছে গত আট বছর বিশ্বব্যাপী রেকর্ডের সবথেকে উষ্ণ আট বছর ছিল।
অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফ ও ইউরোপীয় আল্পস হিমবাহ দ্রুত গলে যাচ্ছে। যা আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্বজু়ড়ে প্রাণঘাতী বন্যা, খরা ও তাপপ্রবাহের প্রচুর টাকা খরচ করা হলেও বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বেড়ে চলায় তা প্রতিহত করা যায়নি। আবহাওার জন্য অভিবাসন বেড়েছে
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে পূর্ব আফ্রিকায় ক্রমাহত খরা, পাকিস্তানের ভয়ঙ্কর বন্যা আর চিন ও ইউরোপের দেশগুলিতে তাপমাত্রার বৃদ্ধি কয়েক কোটি মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলেছে
চিনের তাপপ্রবাহ সেই দেশের দীর্ঘতম বলে রেকর্ড করা হয়েছে। চিনের গড় তাপমাত্রাও বেড়েছে ০.০৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই দেশে আগে কখনই হয়নি।
আফ্রিকার খরা সোমালিা ও ইথিওপিয়াতে ১.৭ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। পাকিস্তানের বিধ্বংসী বন্যা দেশকে ভাসিয়ে দিয়েছে। যার কারণে ৪ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে
অ্যান্টার্কটিকায় বরফ গত জুন ও জুলাই মাসে অনেকটাই গলে গেছে। মহাসাগরের উষ্ণতা বাড়িয়ে দিয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠে ৫৮ শতাংশ সামুদ্রিক তাপপ্রবারের সম্মুখীন হয়েছিল
হিমবাহ গলে যাওয়ায় সমুদ্রের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। যার ফলে সমুদ্রে জলের চাপ বাড়ছে যা জলের উচ্চতাও বাড়িয়ে দিচ্ছে। ২০১৩ - ২০২২ পর্যন্ত সমুদ্রের জলস্তরের উচ্চতা বেড়েছে ৪.৬২ মিমি
এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি থেকে বাঁচার উপায় হল,বিশ্বের তাপমাত্রা কমিয়ে আনতে হবে। কার্বন নিঃসরণ কমাতে হবে। তবে বিশ্বের কতগুলি দেশ এই পথ অনুসরণ করেছে।