আমলকি-তে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, এই ফল খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বাড়ে তেমনি ত্বকের ঔজ্বল্য বাড়ায়। কোলন সিন্থেসিস প্রক্রিয়াকেও ত্বরান্বিত করে।
আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরকে ক্যানসার থেকে শুরু করে হৃদরোগ এবং বার্দ্ধক্য জনিত রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। মাংসপেশীর মধ্যে সেলুলার ড্যামেজ প্রতিরোধ করে
আমলকি খেলে হজমশক্তির বৃদ্ধি ঘটে এবং সেই সঙ্গে কনস্টিপেশনের সমস্যাও দূর হয়। এমনকী গ্যাস্ট্রাইটিস নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে
আমলকি-তে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং পলিফেনোলস রয়েছে। এটা হৃদযন্ত্রকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। লোয়ার কোলেস্টোরল-কে নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখে।
ভিটামিন সি প্রচুর মাত্রায় থাকায় আমলকি শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে আরও শক্তিশালী করতে পারে। যার ফলে কোনও ধরনের ছোঁয়াচে সংক্রমণ থেকে শরীর খুব সহজেই রক্ষা পায়।
আমলকিতে হাইপোগ্লিসেমিক উপাদান রয়েছে। যা রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটা ইনুসুলিন সিক্রেশনের মাত্রাকে বাড়ায়, ইনুসুলিনের সেন্সিটিভিটিকে বাড়িয়ে তোলে
আমলকি খেলে ত্বকের কোঁচকানো কমে যায় এবং ত্বকে ফাইন লাইনসও তৈরি হয় না। এর প্রাকৃতিক গুণাগুণ পেটের রোগকে নিরাময় করার ক্ষমতা রাখে বলে ত্বকের সতেজ ও সুন্দর হয়ে ওঠে।
বাংলা চলচ্চিত্র পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ এই আমলকি-কে নিয়েই একটা ক্যাপশন লিখেছিলেন- ভালো চুলের গোড়ার কথা। সত্যি আমলকি চুলের যত্নে এক অসামান্য প্রাকৃতিক উপাদান হিসাবেই বিবেচিত হয়ে থাকে
আমলিকে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের পক্ষেও খুব ভালো এবং মস্তিষ্কের উপর অহেতুক চাপকে নিয়ন্ত্রণ করে। অ্যালজাইমার্স বা পার্কিনসনের মতো রোগ বাধাপ্রাপ্ত হয়।
শরীরের মধ্যে ইনফ্ল্যামেশন-কে নিয়ন্ত্রণ করে। যার ফলে আর্থরাইটিস-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমলকি খাওয়া অতি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। এছাড়াও ইনফ্ল্যামেটরি বাওয়েল রোগেও আমলকি খুবই উপকারী