জাঙ্ক ফুডে প্রচুর মাত্রায় ক্যালোরি থাকে। সেই সঙ্গে থাকে চিনি এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বি। প্রতিনিয়ত যদি শরীরে এই খাদ্যগুণগুলোর অভাব প্রকট হতে থাকে, তাহলে একদিন তা বিপদ ডেকে আনতে পারে
প্রবল মাত্রায় ক্যালোরি কিন্তু পুষ্টিগুণে এক্কেবারে জিরো- জাঙ্ক ফুডের এমন মার্কশিটেই বোঝা যায় মাত্রারিক্ত এর গ্রহণ শরীরকে কতটা সমস্যায় ফেলতে পারে। জাঙ্ক ফুড খেলে ওবেসিটিও বেড়ে যায়।
অত্যাধিক মাত্রায় জাঙ্ক ফুডের আহার শরীরে ক্রনিক রোগের প্রাধান্য বাড়ায়। এরমধ্যে যেমন টাইপ টু ডায়াবেটিস, বিশেষ কিছু ক্যানসার রয়েছে
উচ্চমাত্রার ট্রান্স ফ্যাট এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বি এই জাঙ্ক ফুডে পাওয়া গিয়েছে। এই উপাদানগুলি হৃদযন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকারক। রোজ জাঙ্ক ফুড খেতে থাকলে হৃদযন্ত্রে তার প্রভাব পড়তে বাধ্য
অত্যাধিক মাত্রায় জাঙ্ক ফুড গ্রহণ হজমে সমস্যা তৈরি করে। এতে ফাইবারের মাত্রাও কম থাকে ফলে পেটের সমস্য বাড়িয়ে দেয়। প্রচুর মাত্রায় অ্যাডিডিটিভস ও প্রিসারভেটিভস থাকে।
জাঙ্ক ফুডের জন্য মস্তিষ্কে প্রভাব পড়তে পারে। যে জাঙ্ক ফুডে এমন কিছু রাসায়নিক থাকে যা সরাসরি মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে। এরজন্য মানসিক হতাশা-র মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে
জাঙ্ক ফুডে প্রচুর মাত্রায় অস্বাস্থ্যকর চর্বি, চিনি থাকে। এটা শরীরকে ইনুসুলিনের বিরুদ্ধে কাজ করতে উদ্যত করে। ইনুসুলিনের মাত্রা কমে গেলে বেড়ে যেতে পারে টাইপ টু ডায়াবেটিসের আশঙ্কা
জাঙ্ক ফুড মাত্রারিক্ত খেলে দাঁত পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। জাঙ্ক ফুডে থাকা রাসায়নিক দাঁতের ক্ষয়ের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং ক্যাভিটি তৈরি করে দেয়। এমনকী গাম ডিজিজ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
জাঙ্ক ফুডে এতটাই শর্করার মাত্রা থাকে যে তা শরীরে একটা ক্লান্তি তৈরি করে এবং শরীর জুড়ে একটা ম্যাজম্যাজে ভাব বজায় রাখে। এর ফলে শরীরে ফূর্তি কমে যায় এবং শরীরে এনার্জি বজায় থাকে না
জাঙ্ক ফুডের মাত্রারিক্ত শর্করা এবং এতে থাকা অস্বাস্থ্যকর চর্বি, রাসায়নিক ফ্লেভার- শরীরে একটা অবৈজ্ঞানিক খাদ্যাভাসের জন্ম দেয়। যার জেরে শরীরে একটা নেশার ঘোরের মতো অবস্থা তৈরি হয়।