দেহের সব হাড়ের সংযোগস্থলে অসহ্য যন্ত্রণার সঙ্গে ফুলে ওঠা ও জড়তার মতো সমস্যাও শুরু হয়ে এবং ক্রমাগত তা বাড়তে থাকে।
অনেক মানুষের ক্ষেত্রে অল্প বয়সেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিছু কিছু খাবার বাতের ব্যথার উপশম হিসেবে কার্যকরী হতে পারে। কয়েকটি খাবার বাতের ব্যথার সমস্যা বাড়িয়েও দিতে পারে।
আদা ও রসুনে প্রদাহনাশক গুণ রয়েছে। ফলে আদা ও রসুন নিয়মিত খেলে কমতে পারে বাতের ব্যথা।
আখরোট ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ। এই ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আর্থারাইটিসের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
ব্রকোলিও প্রদাহনাশক গুণে সমৃদ্ধ। ব্রকোলিতে সালফোরাফেনের মতো একাধিক প্রদাহনাশক উপাদান রয়েছে, যা বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
পালং শাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। বিশেষত কেম্পফেরল নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টটি বাতের ব্যথা কমাতে খুবই উপযোগী।
স্যামন, ম্যাকেরেল ও সারডিনের মতো মাছ বাতের ব্যথায় বেশ উপকারী। এই ধরনের মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে।
এই মাছগুলিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি-ও থাকে। এটি অস্থি সন্ধির স্বাস্থ্যরক্ষায় সহায়তা করে।
বিশেষ করে ক্যান্ডি, ঠান্ডা পানীয় কিংবা আইসস্ক্রিমে যে অতিরিক্ত মিষ্টি থাকে তা বাতের সমস্যা বৃদ্ধি করতে পারে।
ফলে বাড়তে পারে বাতের ব্যথা। এই ধরনের মাংসে ইন্টারলিউকিন, সি-রিয়্যাক্টিভ প্রোটিন ও হোমোসিস্টেইনের মতো উপাদান থাকে, যা প্রদাহ বৃদ্ধি করতে পারে।
গম, বার্লি রাইয়ের মতো দানা শস্যতে থাকে গ্লুটেন নামক এক বিশেষ প্রোটিন। এই প্রোটিনটি বাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
অ্যালকোহল অস্টিওআর্থারইটিসের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। বাতের সমস্যা থাকলে এড়িয়ে চলতে হবে অতিরিক্ত নুনও। অতিরিক্ত সোডিয়াম বাড়িয়ে দিতে পারে বাতের ব্যথা।