যেকোনও কারণেই চেপে বসতে পারে অনিদ্রা। দীর্ঘ দিন ধরে এই সমস্যা চলতে থাকলে বিজ্ঞানের ভাষায় তা হয়ে যায় ‘ইনসমনিয়া’।
তেমনই এক বার ঘুম ভেঙে গেলে ফের ঘুমাতে মারাত্মক অসুবিধা বোধ করেন। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনি কতগুলি উপায় অবলম্বন করে ঘুমনোর চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
প্রতিদিন নিয়ম করে মনঃসংযোগের অভ্যেস এবং নিঃশ্বাসের ব্যায়াম করলে মানসিক চাপ ও অনিদ্রা, দুই সমস্যা থেকেই মুক্তি পেতে পারেন।
রাত্রে খাবার খাওয়ার পর এক ঘণ্টা হালকা পায়চারি করুন, ভরপেট খাবার খেয়েই ঘুমোতে যাবেন না। রোজকার খাবারে প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে।
উজ্জ্বল আলোর বদলে মৃদু নীল রঙের আলো থাকলে ঘুমোতে সুবিধা হতে পারে। আপনাকে রাতে কাজ করতে হলে যদি দিনের বেলা ঘুমোতে হয়, তাহলে জানলায় মোটা পর্দা লাগিয়ে ঘর যতটা সম্ভব অন্ধকার করে ঘুমোন।
বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে একেবারেই চা-কফি খাবেন না। শরীরে ক্যাফিনের আধিক্য ঘুমের পরিমাণ কমিয়ে দিতে থাকে। ঘুম কম হলে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।
প্রত্যেকদিন ঘুমোতে যাওয়ার আগে যদি আপনি বই পড়েন, অথবা শান্ত সুর শোনেন, তাহলে এই অভ্যেসগুলো আপনার ঘুমে সহায়তা করতে পারে।
মোবাইল, ল্যাপটপ, এগুলির আলো মস্তিষ্ককে জেগে থাকার সিগনাল পাঠায়। বৈদ্যুতিন আলো নিভিয়ে চোখ বন্ধ করে রাখুন। ধৈর্য্য ধরুন। ঘুম না এলেও উঠে গিয়ে ঘরের আলো জ্বালাবেন না।
অনিদ্রার কারণ হতে পারে হরমোনের সমস্যা বা মস্তিষ্কের টিউমার। আচমকা যদি আপনার খুব বেশি পরিমাণে অনিদ্রার সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে যেকোনও বড়সড় বিপদ এড়াতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মনের চাপ কমানোর জন্য যেকোনও কাছের বন্ধুর সঙ্গে কথা বলুন। তারপরেও সমস্যা না মিটলে মনোবিদের সহায়তা নিন। প্রয়োজন হলে, ডাক্তারের পরামর্শ মেনে নিয়মমতো ওষুধ খান।