বাচ্চাদের রোজ ৯-১০ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। বাচ্চার এই নির্দিষ্ট সময় ঘুমাচ্ছে কি না তার দিকে খেয়াল রাখুন। ঘুমের অভাবে দেখা দেয় স্ট্রেসের সমস্যা। তাই বাড়িতে ঘুমের সঠিক পরিবেশ তৈরি করুন
আজকাল বহু বাচ্চার খেলা বলতে ভিডিও গেম। এই নিয়ম বদল করুন। শারীরিক পরিশ্রম যত করবে তত সে শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ থাকবে। তাই এবার থেকে রোজ মাঠে গিয়ে খেলার সময় নির্দিষ্ট করুন।
আজকাল অধিকাংশ পরিবারেই মা ও বাবা দুজনে কর্মরত। তাই বাচ্চারা একা বড় হচ্ছে, একাকীত্বে ভোগে। বাচ্চার ভবিষ্যত গড়তে তাকে সময় দিন, তার সঙ্গে গল্প করুন। এতে বাচ্চার মনের চাপ দূর হবে।
অনেকেই সারাক্ষণ বাচ্চাকে পড়াশোনা নিয়ে চাপ দিতে থাকেন। এতে বাচ্চারই ক্ষতি হয়। বাচ্চার সঙ্গে খেলা করুন, তার সঙ্গে সিনেমা দেখুন। পড়াশোনা নিয়ে কখনও তার টার্গেট তৈরি করবেন না।
বাচ্চার সঙ্গে বন্ধু মতো মেলামেশা করুন। সে আপনাকে ভয় পেয়ে কোনও সমস্যা জানাবে না,এতে বাড়বে সমস্যা। বাচ্চার সঙ্গে এমন ভাবে সম্পর্ক তৈরি করুন যাতে সে আপনাকে সব কথা বলতে পারে।
অনেকে বাচ্চাদের বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশা করতে দেননা। এতে বাচ্চারই ক্ষতি হয়। বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করলে, গল্প করলে চাপ মুক্ত থাকবে। মন যত ভালো থাকবে তত স্ট্রেস তাকে ঘিরে ধরতে পারবে না।
অধিকাংশ বাচ্চাই একা একা বড় হয়। এই কারণে বাচ্চার মধ্যে ঘরকুনো স্বভাব দেখা দেয়। এই স্বভাব মারাত্মক আকার নিলে দেখা দিতে পারে মানসিক জটিলতা।
স্ট্রেসের সম্পর্কে জানান বাচ্চাকে। বাচ্চার মধ্যে কোনও মানসিক চাপ দেখা দিতেলে তা আচরণে প্রকাশ পাবে। বাচ্চার মধ্যে কোনও লক্ষণ দেখা দিলে গল্প করুন, তার এই সমস্যার কারণ উদঘাটন করুন।
কীসে ভয় পাচ্ছে দেখুন। হতে পারে পড়াশোনার কোনও বিষয় পড়তে ভয় পায়, সেই থেকে বাড়ছে স্ট্রেস। সেক্ষেত্রে, বাচ্চাকে ভালো নম্বর করার চাপ দেবেন না বরং, বিষয়টির প্রতি আগ্রহ তৈরি করুন।
বর্তমানে বহু বাচ্চা স্ট্রেসের শিকার। এর কারণ পড়াশোনা তেমনই মা বাবার থেকে দূরে থাকার জন্যও বাড়ে স্ট্রেস। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বাচ্চার বিশেষ খেয়াল রাখুন।