মনসা মন্ত্রবলে পৃথিবীতে কর্তৃত্ব বিস্তার করে শিবকে প্রসন্ন করেন, শিব বলেন নারায়ণকে প্রসন্ন করতে। নারায়ণ সিদ্ধি নামক দৈবী ক্ষমতা প্রদান করলে দেবী হিসেবে মনসার কর্তৃত্ব সুবিদিত হয়
পুরাণ মতে, মনসা ঋষি কশ্যপের সন্তান তথা কাশ্যপ গোত্রজ। উল্লেখ্য, মঙ্গলকাব্যে শিবকে মনসার পিতা বলা হলেও, পুরাণে সেই তথ্যের সমর্থন পাওয়া যায় না।
একবার সাপ ও সরীসৃপরা পৃথিবীতে উৎপাত শুরু করলে ঋষি কশ্যপ নিজের মন থেকে মনসা দেবীর জন্ম দেন। মন থেকে জন্ম বলে তার নাম হয় ‘মনসা’। সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা তাকে সর্প ও সরীসৃপদের দেবী করেন।
সাপের কামড় থেকে রক্ষা পেতেই আপামর বাঙালীর ঘরে মাটির সরায় দুধ-কলা দিয়ে দেবীকে পুজা করা হয়। পুজা শেষে শাগু দুধ-কলা দিয়ে উপকরণ দিয়ে মা মনসার পুজা সম্পন্ন করে উপবাস ভাঙ্গেন মহিলারা
বাংলার গ্রামে পুরো শ্রাবণ মাস জুড়ে মনসা পূজা হয়। পুজা উপলক্ষে হয় পালা গান ‘সয়লা’। এই পালার বিষয় হল— পদ্মপুরাণ বা মনসা মঙ্গল। ১৭- ১৮ আগষ্ট বাংলার ঘরে ঘরে পূজিত হবেন দেবী মনসা।
পুরুলিয়ায় মনসা পূজায় হাঁস বলি দেওয়া হয়। রাঢ বাঁকুড়ায় জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতে দশহরা ব্রত পালন করে মনসা পূজা করা হয়। তখন এখানে ঘুড়ি ওড়ানো হয়।
মনসা পূজার অঙ্গ হল অরন্ধন। রাঢ়ে চৈতন্যদেবের সময়ে মনসাকে মা দূর্গার এক রূপ মনে করা হত। তাই কোনও কোনও জায়গায় পূজায় বলি দেয়া হত। আজও অনেক পূজায় পাঁঠা বলি হয়।
১৮ই আগস্ট ২০২৩ ইং রোজ শুক্রবার শ্রী শ্রী মনসা পূজা।মনসা পূজা শ্রাবণ মাসের শেষ দিনে করা হয়। মনসা সাপের দেবী। তিনি মূলত লৌকিক দেবী