শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি অফস্পিনার মুথাইয়া মুরলীধরনের বায়োপিক আসতে চলেছে। এই ছবিতে প্রধান ভূমিকায় দেখা যাবে 'স্লামডগ মিলিয়নেয়র'-খ্যাত মধুর মিত্তলকে।
টেস্টে শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অফস্পিনার মুথাইয়া মুরলীধরনের উইকেট সংখ্যা ৮০০। প্রথম ও একমাত্র বোলার হিসেবে এই রেকর্ড আছে মুরলীর। সেই কারণেই তাঁর বায়োপিকের নাম দেওয়া হয়েছে '৮০০'।
মুথাইয়া মুরলীধরনের বায়োপিকের পোস্টারে মধুর মিত্তলকে অবিকল এই প্রাক্তন ক্রিকেটারের মতো দেখতে লাগছে। এই পোস্টার দেখে খুশি হয়েছেন মুরলীর অনুরাগীরা। তাঁরা ছবি মুক্তির অপেক্ষায়।
তামিল, তেলুগু ও হিন্দি ভাষায় তৈরি হচ্ছে মুথাইয়া মুরলীধরনের বায়োপিক। এ বছরই মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি। এখন থেকেই ছবিটি নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে।
মুথাইয়া মুরলীধরনের বায়োপিকের কাহিনি লিখেছেন এবং পরিচালনা করছেন এম এস শ্রীপতি। প্রযোজনা করছে মুভি ট্রেন মোশন পিকচার্স ও বিবেক রঙ্গচারী। মুরলীর জীবনের নানা ঘটনা তুলে ধরা হবে ছবিটিতে।
মুথাইয়া মুরলীধরনের জনপ্রিয়তা শুধু শ্রীলঙ্কাতেই সীমাবদ্ধ নেই। ভারতেও তিনি প্রচণ্ড জনপ্রিয়। বিশেষ করে তামিলনাড়ুতে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। সেই কারণেই ভারতে তৈরি হচ্ছে তাঁর বায়োপিক।
মুথাইয়া মুরলীধরনের ঠাকুর্দা পেরিয়াসামি সিনাসামি শ্রীলঙ্কায় চা বাগানে কাজ করতে গিয়েছিলেন। পরে তিনি তামিলনাড়ুতে ফিরে আসেন। মুরলীর বাবা সিনাসামি মুথাইয়া অবশ্য শ্রীলঙ্কাতেই থেকে যান।
২০০৫ সালের মার্চে বিয়ে করেন মুথাইয়া মুরলীধরন। তাঁর স্ত্রী মধিমালার রামামূর্তি চেন্নাইয়ের মেয়ে। ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে তাঁদের প্রথম সন্তান নরেনের জন্ম হয়।
ভারতে আসার জন্য ভিসা করাতে হয় না মুথাইয়া মুরলীধরনকে। কারণ, তিনি ভারতের ওভারসিজ সিটিজেন। পরিবারের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এবং স্ত্রী ভারতীয় হওয়ায় এই সুবিধা পেয়েছেন মুরলী।
২০০৮ সালে প্রথম আইপিএল-এ চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেন মুথাইয়া মুরলীধরন। সেবার তিনি ১৫ ম্যাচ খেলে ১১ উইকেট নেন। তাঁর দল প্রথম আইপিএল-এ রানার্স হয়।