Bangla

মোবাইল ফোন আমাদের রোজকার জীবনের অঙ্গ।

দৈনন্দিন জীবন তো বটেই, সারাদিনের প্রায় ২৪ ঘণ্টাই মোবাইল ফোন দেহের অঙ্গের মতো সারাক্ষণ আমাদের সাথে সাথে জুড়ে থাকে।

Bangla

কিন্তু, জানেন কি?

এই মোবাইল ফোনেরই অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে হতে পারে দুরারোগ্য ক্যান্সার। 

Image credits: Freepik
Bangla

সম্প্রতি একটি গবেষণায় পরীক্ষামূলকভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে,

আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্‌থ’-এর তত্ত্বাবধানে একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, মোবাইল ফোনের ব্যবহার শরীরে তৈরি করতে পারে ম্যালিগন্যান্ট ক্যান্সার!

Image credits: Freepik
Bangla

ফোন ব্যবহারের সময় যে রেডিও-তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে,

 তা থেকেই শরীরে আসে ম্যালিগন্যান্ট ক্যান্সার। ব্রেন ক্যান্সার বা ব্রেন টিউমারের সম্ভাবনাও বহু গুন বেড়ে যায়। 

Image credits: Freepik
Bangla

‘ন্যাশনাল টক্সিকোলজি প্রোগ্রাম'-এ এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে,

যে রেডিও-তরঙ্গে টেলিভিশন সম্প্রচার করা হয়, বা চালানো হয় উপগ্রহ মারফত যোগাযোগ ব্যবস্থা, সেই রেডিও-তরঙ্গ অনিবার্য ভাবেই ম্যালিগন্যান্ট ক্যান্সারের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তোলে।

Image credits: Getty
Bangla

মূল গবেষক ক্রিস্টোফার পোর্টিয়ার তাঁর গবেষণাপত্রে জানিয়েছেন,

যে রেডিও-তরঙ্গ থেকে পুরুষ ইঁদুররা ম্যালিগন্যান্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে, আমাদের রোজকার ব্যবহার করা মোবাইল ফোন থেকে সেই রেডিও-তরঙ্গই ছড়িয়ে পড়ে নিয়মিত ভাবে।

Image credits: Freepik
Bangla

ওই একই রেডিও-তরঙ্গ

সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তিতে বানানো মোবাইল ফোন থেকেও ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন গবেষক।

Image credits: Getty
Bangla

ক্যান্সার রোগ বিশেষজ্ঞদের মতে,

‘ওই বিশেষ রেডিও-তরঙ্গের মাত্রা বাড়ানো হলে, গবেষণায় রাখা ইঁদুররা আরও বিরল ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। খুব দ্রুত হারে।

Image credits: Freepik
Bangla

সেই ক্যান্সার বা টিউমারটা হচ্ছে তাদের মস্তিষ্কে।

যেটাকে বলে ‘গ্লিওমাস’। তারা আক্রান্ত হচ্ছে আরও ধরনের ক্যান্সারে। তাদের হৃদযন্ত্রের ওই ক্যান্সারকে বলে ‘শোয়্যানোমাস’।

Image credits: Freepik
Bangla

যদিও গবেষকরা এও জানিয়েছেন যে,

রেডিও-তরঙ্গের স্বাভাবিক মাত্রায় (যা রোজ মোবাইল ফোন থেকে ছড়িয়ে পড়ে) এই দুই ধরনের ক্যান্সারে ইঁদুররা আক্রান্ত হচ্ছে না। 

Image credits: Getty
Bangla

ইঁদুর আর মানুষদের শরীরের তুলনা সম্পর্কে গবেষকরা জনিয়েছেন যে,

ইঁদুরদের মতো, মানুষদের ক্ষেত্রেও রেডিও-তরঙ্গের প্রভাব একই রকম হবে। আলাদা হওয়ার অন্তত কোনও বৈজ্ঞানিক কারণ নেই।’’

Image Credits: Getty