দৈনন্দিন জীবন তো বটেই, সারাদিনের প্রায় ২৪ ঘণ্টাই মোবাইল ফোন দেহের অঙ্গের মতো সারাক্ষণ আমাদের সাথে সাথে জুড়ে থাকে।
এই মোবাইল ফোনেরই অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে হতে পারে দুরারোগ্য ক্যান্সার।
আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ’-এর তত্ত্বাবধানে একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, মোবাইল ফোনের ব্যবহার শরীরে তৈরি করতে পারে ম্যালিগন্যান্ট ক্যান্সার!
তা থেকেই শরীরে আসে ম্যালিগন্যান্ট ক্যান্সার। ব্রেন ক্যান্সার বা ব্রেন টিউমারের সম্ভাবনাও বহু গুন বেড়ে যায়।
যে রেডিও-তরঙ্গে টেলিভিশন সম্প্রচার করা হয়, বা চালানো হয় উপগ্রহ মারফত যোগাযোগ ব্যবস্থা, সেই রেডিও-তরঙ্গ অনিবার্য ভাবেই ম্যালিগন্যান্ট ক্যান্সারের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তোলে।
যে রেডিও-তরঙ্গ থেকে পুরুষ ইঁদুররা ম্যালিগন্যান্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে, আমাদের রোজকার ব্যবহার করা মোবাইল ফোন থেকে সেই রেডিও-তরঙ্গই ছড়িয়ে পড়ে নিয়মিত ভাবে।
সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তিতে বানানো মোবাইল ফোন থেকেও ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন গবেষক।
‘ওই বিশেষ রেডিও-তরঙ্গের মাত্রা বাড়ানো হলে, গবেষণায় রাখা ইঁদুররা আরও বিরল ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। খুব দ্রুত হারে।
যেটাকে বলে ‘গ্লিওমাস’। তারা আক্রান্ত হচ্ছে আরও ধরনের ক্যান্সারে। তাদের হৃদযন্ত্রের ওই ক্যান্সারকে বলে ‘শোয়্যানোমাস’।
রেডিও-তরঙ্গের স্বাভাবিক মাত্রায় (যা রোজ মোবাইল ফোন থেকে ছড়িয়ে পড়ে) এই দুই ধরনের ক্যান্সারে ইঁদুররা আক্রান্ত হচ্ছে না।
ইঁদুরদের মতো, মানুষদের ক্ষেত্রেও রেডিও-তরঙ্গের প্রভাব একই রকম হবে। আলাদা হওয়ার অন্তত কোনও বৈজ্ঞানিক কারণ নেই।’’