সংক্ষিপ্ত

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া কার্যত সমাপ্ত ২৯ এপ্রিল। এবার অপেক্ষা শুধুই ফলাফল ঘোষণা। আর ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার শেষ লগ্নেও বিজেপি-র পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়া হল এক সদর্থক বাংলা। তাঁদের দৃঢ় বিশ্বাস এই পদক্ষেপ এক সুন্দর ও সোনার বাংলা তৈরি করবে। একনজরে বিজেপি-র সেই বার্তা- যা এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড করছে। 
 

২০২১ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের শুরু থেকেই বিজেপি সোনার বাংলা-র ভাবনা-কে সমানে তুলে ধরেছে। এর জন্য জানুয়ারি মাসে তারা সোনার বাংলা কর্মসূচিও নিয়েছিল। যেখানে বিজেপি-র বেশকিছু বিশিষ্ট নেতা-দুয়ারে-দুয়ারে গিয়ে সোনার বাংলা-র স্বপ্ন নিয়ে প্রচার চালান। কুড়ি দিনের বেশি ধরে সমগ্র বাংলায় এই সোনার বাংলার প্রচার চালিয়েছিল বিজেপি। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ-দের দাবি, উন্নয়নের গতিহীনতায় মরচে ধরে গিয়েছে বাংলার। এর প্রভাব পড়েছে সমাজজীবনে। এর প্রভাব পড়েছে মনুষ্যদের উপরেও। বলতে গেলে এক নিরাশাবাদের মধ্যে ডুবে রয়েছে বাংলা। নিরাশার এই অন্ধকার থেকে আলোয় বাংলাকে ফেরাতে গেলে দরকার সঠিক পদক্ষেপের এবং সদর্থক পদক্ষেপের। যা বাংলাকে এক সুন্দর এবং অত্যাধুনিক জীবনের মোড়কে আবদ্ধ করবে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া কার্যত সমাপ্ত ২৯ এপ্রিল। এবার অপেক্ষা শুধুই ফলাফল ঘোষণা। আর ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার শেষ লগ্নেও বিজেপি-র পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়া হল এক সদর্থক বাংলা। তাঁদের দৃঢ় বিশ্বাস এই পদক্ষেপ এক সুন্দর ও সোনার বাংলা তৈরি করবে। একনজরে বিজেপি-র সেই বার্তা- যা এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড করছে। 
১। আপনার ভোট ফিরিয়ে আনুক বাংলার গৌরব। সকাল সকাল ভোট দিন। এমনই বার্তা টুইটারে অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি। 

২। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আঁছড়ে পড়েছে। তাই ভোট দিলেই যে হবে না করোনা বিধিটাও যে মানা প্রয়োজন তাও এমনই এক পোস্টের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছে বিজেপি। 

৩। অষ্টম দফার ভোটগ্রহণের সকালেই বাংলাবাসীর উদ্দেশে টুইটে বাংলায় বার্তা দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। 

৪। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ডাক দিয়েছেন কোভিড বিধি মেনে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার। 

৫। সংস্কৃতির বিকাশে যে বিজেপি পিছিয়ে থাকবে না বা বাংলা যে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য দুনিয়ার কাছে পরিচিত তাতে যে কোনও খামতি থাকবে না, তা এমনই এক টুইটার পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে সোনারপুরে মহনায়ক উত্তম কুমারের নামে ফিল্ম সিটি প্রতিষ্ঠার কথাও বলা হয়েছে। 

৬। কৃষকদের নিয়ে যে বিজেপি-র বিশেষ ভাবনা রয়েছে তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি কৃষি অনুদান পাওয়ার জন্য কৃষকদের তালিকা তৈরির করারও আর্জি জানিয়েছেন। সেই বার্তাকে সামনে রেখেই বিজেপি টুইটারে পোস্ট করল যে কৃষক সুরক্ষায় ২০ হাজার কোটি টাকার পরিকাঠামো তহবিল তৈরি করা হচ্ছে। 

৭। পশ্চিমবঙ্গকে বিমান যোগাযোগে কেমন করে উন্নিত করা হবে, কেমন করেই বা রাজ্যের ছোট বিমানবন্দরগুলিকে একে অপরের সঙ্গে জোড়া হবে শুধু নয়, কীভাবে বাগডোগরা বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিণত করা যায় তারও একটা স্পষ্ট ধারনা দেওয়া হয়েছে। 

৮। ৩০০ বছরেরও বেশি বয়স কলকাতা শহরের। কিন্তু,  শহরের সৌন্দর্যায়ণ এবং পরিকাঠামো উন্নয়নে সেভাবে কোনও কাজই হয়নি। কলকাতাকে নতুন রূপে গড়ে তুলতে ২২ হাজার কোটি টাকার এক তহবিল গড়ে তোলা হচ্ছে তাও টুইট বার্তায় জানিয়েছে বিজেপি। 

৯। দেশের প্রথম মেট্রো রেল যোগাযোগ কলকাতায়। অথচ, এই সেদিন দিনের আলো দেখা দিল্লি মেট্রো দিল্লি ছাড়িয়ে হরিয়াণা ও উত্তরপ্রদেশের মধ্যে ঢুকে পড়লেও কলকাতা মেট্রোর সেই সৌভাগ্য এখনও ঘটেনি। বিজেপি-র প্রতিশ্রুতি মেট্রো মানচিত্রে শ্রীরামপুর থেকে ধূলাগড় ও কল্যাণীকে জোড়া হবে। 

১০। ২০০ ইউনিট বিদ্যু ব্যবহারে কোনও শুল্ক না লাগারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি। 

১১। মহিলা শ্রমিকদের জন্য নিরখচায় যাতায়াতের বন্দোবস্ত করা হবে বলে টুইট বার্তায় জানিয়েছে বিজেচপি। 

১২। পুরোহিত কল্যাণে শুধু বোর্ড প্রতিষ্ঠাই নয়, মাসিক ৩ হাজার টাকার সাম্মানিক প্রদানের প্রতিশ্রুতি রাখা হয়েছে। 

১৩। আয়ুষ্মান ভারত-কে যে বাংলার বুকে লাগু করতে বিজেপি বদ্ধ পরিকর তাও স্পষ্ট জানানো হয়েছে। ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের কথা বলা হয়েছে। 

১৪। মা ও শিশুর বিকাশে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আশা কর্মীদের। কিন্তু, যে পরিমাণ কাজের চাপ ও পরিশ্রম করতে হয়, তাতে তাঁরা মাত্র ৪৫০০ টাকার মাস মাইনে-তে কাজ করেন। সেই আশাকর্মীদের মাইনে ৬০০০ টাকা বেতনের অঙ্গিকার করেছে বিজেপি। 

১৫। উত্তরবঙ্গ, জঙ্গলমহল এবং সুন্দরবনে অত্যাধুনিক এইমস তৈরির কথাও ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি।