- রাজ্যে বিধানসভা ভোট উপল্যক্ষ্যে চড়ছে নির্বাচনি পারদ
- প্রতিটি দল নেমে পড়েছে প্রচারে চলছে আক্রমণের পালাও
- এই পরিস্থিতিতে বুধবার রাজ্য আসছে কমিশনের ফুল বঞ্চ
- তিন দিনের সফরে খতিয়ে দেখা হবে নির্বাচবের যাবতীয় পরিস্থিতি
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের উত্তাপ ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। ভোটের প্রচারও শুরু করে দিয়েছে শাসক-বিরোধী সব দলই। চলছে একে অপরকে আক্রমণও। এই আবহে বুধবার রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। থাকছেন চিফ ইলেকশন কমিশনার সুনীল অরোরা, দুই ইলেকশন কমিশনার রাজীব কুমার ও সুশীল চন্দ্র এবং রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার সুদীপ জৈন। তিন দিনের এই সফরে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি আরও কি করণীয় সেগুলি নির্ধারণ করাই মূল লক্ষ্য নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের।
নির্বাচন কমিশনের এই তিন দিনে ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে। বুধবার সন্ধায় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধাকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। এছাড়া বৈঠকে থাকবেন স্টেট পুলিশের নোডাল অফিসার তথা এডিজি আইনশৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিং। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা বলবে নির্বাচন কমিশন। শাসক-বিরোধী সকলেরই অভিযোগ ও দাবির কথা শুনবেম, সুনীল অরোরা, সুদীপ জৈনরা। ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দ্বিতীয় দফায় বাংলায় এসে, জেলাশাসক , পুলিস সুপার ও পুলিস কমিশনারদের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠক করেন উপ নির্বাচন কমিশনার। এরপর কমিশনের তরফে নির্দেশিকা জারি করা জানানো হয়, এবার থেকে প্রতি শুক্রবার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে রিপোট পাঠাতে হবে জেলাশাসক ও পুলিস সুপারদের। এছাড়া মুখ্য়সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব-সহ রাজ্য় প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য বরাদ্দ থাকছে। ফলে এই তিনদিনের কর্মসূচির পরই রাজ্যে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ও নিশ্চিৎ হবে এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে।
নির্বিঘ্নে ভোট করাতে একাধিক পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশন নিতে পারে বলে সূত্রের খবর। করোনা আবহে ভোটের জন্যও নেওয়ার হতে পারে একাধিক সিদ্ধান্ত। এবার নির্বাচনে বুথের সংখ্যা বাড়াতে চলেছে নির্বাতন কমিশন। প্রায় ৩০ শতাংশ বুথের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই খবর নির্বাচন কমিশন সূত্রে। বুথ পিছু হাজার জন ভোটার করার টার্গেট রয়েছে কমিশনের। সেক্ষেত্রে রাজ্যে বুথের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১ লক্ষ ১০ হাজারে। বাংলার ভোচে হিংসার অভিযোগ নতুন নয়। তাই অবাধ ভোচ করতে বাড়ানো হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যাও। প্রায়া ২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনি বেশি আসতে পারে রাজ্যে। ফলে নির্বাচন কমিশনেপ এই তিন দিনের কর্মসূচি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
Read Exclusive COVID-19 Coronavirus News updates, from West Bengal, India and World at Asianet News Bangla.
খেলুন দ্য ভার্চুয়াল বোট রোসিং গেম এবং চ্যালেঞ্জ করুন নিজেকে। கிளிக் செய்து விளையாடுங்கள்
Last Updated Jan 20, 2021, 2:01 PM IST