সংক্ষিপ্ত
- নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা ক্রমশ বাড়ছে
- বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতোর
- বিজেপি ও তৃণমূল পারস্পরিক দোষারোপে ব্যস্ত
- বাগযুদ্ধ শুরু হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের মধ্যে
রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব চলছে, এমন অভিযোগ কোচবিহারে পা রেখেই করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তার পালটা জবাব দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসও। তৃণমূলের পক্ষ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল সাজানো গোছানো আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর বাড়ি শুধু না গিয়ে, সত্যি যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের বাড়ি যান রাজ্যপাল। তবেই আসল ছবি বুঝতে পারবেন।
নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা ক্রমশ বাড়ছে রাজ্য জুড়ে। এরই সঙ্গে বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। একদিকে বিজেপি ও তৃণমূল যেমন পরস্পরের ওপর দোষারোপ করতে ব্যস্ত, তেমনই বাগযুদ্ধ শুরু হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের মধ্যে।
জলপাইগুড়ি সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনের কাছ থেকে কোনও সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল। তাঁর দাবি রাজ্য পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল। সাংবিধানিক পদের নূন্যতম সম্মান তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের কাছ থেকে আশা করেন বলে বার্তা দিয়েছেন ধনকড়।
এদিকে, শুক্রবার আসাম সফরে যান রাজ্যপাল। ট্যুইট করে তিনি জানান আসামের রাংপাগলি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক পরিবার, যারা প্রাণের ভয়ে বাড়িতে ফিরতে পারছে না।
জগদীপ ধনকড়ের একাধিক রাজ্য সরকার বিরোধী ট্যুইটের জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। দলের কোচবিহার জেলার সভাপতি পার্থপ্রতীম রায় গোটা বিষয়টিকেই সাজানো বলে দাবি করেছেন। তিনি ফেসবুকে লেখেন রাজ্যপাল তৃণমূল আক্রান্তের বাড়িতেও যান। তবেই পরিষ্কার হবে গোটা ছবিটা। ১০ই এপ্রিল ভোটের দিন যারা নিহত হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের সঙ্গেও যেন দেখা করেন রাজ্যপাল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, তা তিনি করছেন না।
পার্থপ্রতীমের দাবি রাজ্যপাল নিজের সাংবিধানিক পদের মর্যাদা নিজেই রাখছেন না। তাঁর একমাত্র উদ্দেশ্য রাজ্যের সরকারকে অপমান করা।