সংক্ষিপ্ত
- কৃষি আইনের বিরোধীতায় সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
- বিধানসভায় পেশ করা হল কৃষি আই বিরোধী প্রস্তাব
- যা নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখাল বিজেপির বিধায়করা
- কেন্দ্রে সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী
কেন্দ্রে নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে এবার সুর আরও চওড়া করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগও দাবি করে ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পেশ করা হয়। যা নিয়ে তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টি হয় বিধানসভা অন্দরে। বিজেপি বিধায়করা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি জয় শ্রী রাম স্লোগানও দেয়। বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীও।
বিধানসভায় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার প্রস্তাব পেশ করেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে পার্থের প্রস্তাব পাঠ শেষ হতেই বিজেপি-রমনোজ টিগ্গা, দুলাল বর, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, আশিস বিশ্বাস, স্বাধীন সরকারেরা ওয়েলে নেমে তার বিরোধিতা করা শুরু করেন। বিধায়কদের হট্টোগোলের কারণে বক্তব্য রাখতে চাননি কংগ্রেস বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা। এরপরই বলতে ওঠেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বলার সময়ও বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। তবে নিজের বক্তব্য থামাননি মুখ্যমন্ত্রী। ২৬ জানুয়ারির ঘটনায় গোয়েন্দা দফতর, পুলিস ও কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করে মমতা বলেন,'যে কোনও মূল্যে কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে বিজেপি সরকারকে গদি ছাড়তে হবে। কোনও ক্ষেত্রেই নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।'
এরপরই বিজেপি বিধায়করা বিধানসভায় জয় শ্রী রাম ধ্বনি দিতে দিতে ওয়াক আউট করে। সেই সময় বিজেপি বিধায়ক দুলাল বরের সঙ্গে তুমুল বচসায় জড়িয়ে পড়েন বাম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। কার্যত হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় দুজনের মধ্যে। সেই সময় অন্যান্য বাম বিধায়ক ও কংগ্রেস বিধায়করা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিন বিধানসভায় কৃষকদের স্বার্থে বাম-কংগ্রেস বিধায়কদের কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাবকে সমর্থন জানানোর আহ্বানও জানিয়োছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলের মতে, আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধী আন্দোলনকে যে ইস্যু করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বৃহস্পতিবারের ঘটনা তার প্রমাণ।