সংক্ষিপ্ত
- বুধবার রাতে গুলি চলল চোপড়া থানা এলাকায়
- থানা থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে গুলি চলে
- গুলি চলে মহিলাকে লক্ষ্য করে
- তাঁর পায়ে গুলি লাগে
ভোট-পরবর্তী হিংসা অব্যাহত চোপড়ায়। বুধবার রাতের গুলি চালানোর ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক চোপড়া থানা এলাকায়। থানা থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে ঘটে গুলি চালানোর ঘটনা। বুধবার রাতে বাসন্তী বর্মন নামে এক মহিলা গুলিবিদ্ধ হন। তার পায়ে গুলি লাগে। তাকে চিকিৎসার জন্য চোপড়া দোলুয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে সেখান থেকে চিকিৎসকরা ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।
বাসন্তী বর্মণ জানান, আচমকাই বুধবার রাতে তাঁদের বাড়ির সামনে বেশ কয়েকজন লোক জমায়েত করে। অশ্রাব্য ভাষায় কটুক্তি করতে থাকে তাঁকে উদ্দেশ্য করে। বাড়ি ঘর ভেঙে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। মহিলার অভিযোগ তৃণমূলে পার্টি অফিস থেকে লোক এসে এই গালিগালাজ করে। স্থানীয় কেউ তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ বাসন্তী দেবীর।
তিনি বাধ্য হয়ে তাঁর স্বামীকে ডেকে আনলে ওই দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি মহিলার পায়ে লাগে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ওই মহিলার বাড়ি থেকে চোপড়া থানার দূরত্ব খুবই কম। তা সত্ত্বেও কোনও পুলিশ কর্মীকে আসতে দেখা যায়নি।
বাসন্তী বর্মণের অভিযোগ তাঁরা বিজেপিকে সমর্থন করেন বলেই এই হামলা। তাঁদের বুথে তৃণমূল সেভাবে ভোট পায়নি। সেই ক্ষোভ থেকেই তৃণমূল হামলা চালিয়েছে। কিন্তু পুলিশ এখানে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। কোনও সাহায্য পুলিশের পক্ষ থেকে মেলেনি বলে অভিযোগ মহিলার পরিবারের সদস্যদের। এইভাবেই চোপড়া থানার পুলিশ প্রশাসনের সামনে এমন ঘটনা দিন দিন ঘটে চলেছে, প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা গ্রহণ করেছে এমনই অভিযোগ।