সংক্ষিপ্ত

  • পুরুলিয়ায় জনসভায় রামায়নের গল্প 
  • গল্প বললেন নরেন্দ্র মোদী 
  • জল সংকট মেটানোর আশ্বাস 
  • সীতাকুণ্ড রয়েছে অযোধ্যা পাহাড়ে 
     

পুরুলিয়ার জল সংকটের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রামায়নের গল্প বলে রীতিমত কটাক্ষ করেন রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে। তিনি বলেন এখানে রয়েছে সীতাকুণ্ড। কিন্তু তাও এই জেলায় জলের তীব্র সংকট রয়েছে। তিনি বলেন এই এলাকায় ভগবান রাম ও দেবী সীতার নির্বাসনের সাক্ষী। পুরুলিয়ার মাটিতেই রয়েছে সীতাকুণ্ড। এমনও বলা হয়, এখানে দেবী সীতার প্রবল পিপাসা  পয়েছিল। সেই সময় ভগবান রাম তীর দিয়ে মাটি থেকে জল তুলেছিলেন। কিন্তু এমনই বিড়ম্বনা যে এখানে আজও প্রবল জলের সংকটের মধ্যে পড়তে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। 


পুরুলিয়া শহর থেকে প্রায় ৪৮ কিলোমিটার দূরে অযোধ্যা পাহাড়ের  হিলটপ অঞ্চলের কাছেই বাগান্ডি গ্রাম। সেখান থেকে হাঁটা পথে গেলেই পাওয়া যায় একটা ঠান্ডা জলের প্রস্রবন। দেখতে পাওয়া যায় মাটির নিচ থেকে বেরিয়ে আসছে ঠান্ডা পরিষ্কার জল। সেখানে রয়েছে মাছের আনাগোনাও। সেটি সীতাকুণ্ডু নামে পরিচিত। কথায় আছে রামচন্দ্র বসবাসের সময় কয়েক দিন এই এলাকায় ছিলেন। সেই সময় তৃষ্ণার্থ হয়ে পড়লে তাঁকে মাটি ভেদ করে জল বার করে এনে জল পান করান রামচন্দ্র। সেই জলধারা এখনও বয়ে চলেছে বলেই বিশ্বাস স্থানীয়দের। স্থানীয় আদিবাদীদের কাছে  সীতাকুণ্ডের গুরুত্ব এখনও অপরিসীম। প্রবল গ্রীষ্মে রুক্ষ পুরুলিয়ায় যখন জলের তীব্র হারাকার পড়ে যায় তখনও এই কুণ্ডের জল শুকিয়ে যায় না।  তবে জলাধারের একটি দিক ঠিক থাকলেও অন্যদিকটি এখনও বিপর্যস্ত। সেখান দিয়ে আর জল বার হয় না। 

পুরুলিয়ার জনসভা থেকে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী সেই সীতাকুণ্ডের কথা উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে তুলে ধরেন পুরুলিয়ার ধর্মীয় মাহাত্যও। রামায়নের গল্প বলেই জল সংকট মেটানোর আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন ডবলইঞ্জিন সরকার এলে পুরুলিয়ার জলের সমস্যা দূর হবে। তাঁর কথায় এখনও পুরুলিয়াকে পিছিয়ে পড়া এলাকা হিসেবেই দেখা হয়। যে পরিমাণে সেচের কাজ হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। আর তার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পূর্বতন বাম সরকার ও বর্তমান তৃণমূল সরকারকে দায়ি করেছেন।