সংক্ষিপ্ত
- রাজ্যে লাগামছাড়াভাবে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ
- আক্রান্ত বাড়তেই শয্যা ও অক্সিজেনের ঘাটতি
- 'আপনার পাশে আছেন রাজনৈতিক নেতারা'
- বিজেপি-তৃণমূলের শীর্ষ নের্তৃত্বের ফোন নম্বর ভাইরাল
কোভিডে ভয়াবহ অবস্থা রাজ্যে। একদিকে লাগামছাড়াভাবে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। আর তারই সঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে শয্যা ও অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এমন সময় সাধারণ মানুষরা যাতে তাঁদের দুঃখকষ্টে বিজেপি-তৃণমূলের নেতা-নেত্রীর কাছে পৌছতে পারেন, সেজন্য শীর্ষ নের্তৃত্বের নিজ্বস্ব ফোট নাম্বার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছেন নেট-নাগরিকরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় জানোনো হয়েছে, 'করোনাভাইরাসকে ভয় কীসের। আপনার পাশে আছেন মানুষের জন্য কাজ করার জন্য প্রাণ আনচান করা নেতারা। মাস্ক, স্যানিটাইজার, রক্ত, অক্সিজেন, অ্যাম্বুলেন্সের জন্য এখুনি যোগাযোগ করুন। ভাইরাল ওই বার্তায় মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বাবুল সুপ্রিয়, রাজ চক্রবর্তী সহ আরও ১৪ জন বিজেপি এবং তৃণমূলের নেতার ফোন নম্বরগুলি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। মূলত, রাজ্য নির্বাচনের জন্য প্রচারে বিপুল জনসমাগম এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে নাগরিকদের মধ্যে স্পষ্ট বিরক্তি প্রকাশ পেয়েছে।
আরও পড়ুন, শুধু পশ্চিমবঙ্গে কোভিডে মৃত্যু পেরোল ১১ হাজার, এদিকে ভোটের জেরে বন্ধ ৩৬ ভ্যাকসিন সেন্টার
এদিকে আরও এক ধাপ উঠে গিয়ে, কোভিড পরিস্থিতিতে ভোট পরিচালনা এবং রাজনৈতিক সভার অনুমোদন দেওয়ায় কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্য়োপাধ্যায় এবং সেন্থিকুমার রামমূর্তির বেঞ্চ জানিয়েছে, কোভিডের দ্বিতীয় ওয়েভ বা ঢেউয়ের জন্য পুরোপুরি দায়ী নির্বাচন কমিশন। এখানেই শেষ নয়, নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করা উচিত বলে মনে করেছেন প্রধান বিচারপতি। রাজনৈতিক দলগুলি বিধি ভঙ্গের কাজ করলেও কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি বলে কমিশনকে দায়ী করে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, কলকাতা সহ সারা রাজ্যে বেড বাড়ানো হলেও এই মুহূর্তে কলকাতায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে আর মাত্র খালি বেডের সংখ্যা ১৫০০ টি। এদিকে মঙ্গলবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী,রাজ্যে একদিনে মৃত ৭৩ জন এবং শুধু পশ্চিমবঙ্গে কোভিডে মোট মৃত্যু পেরিয়েছে ১১ হাজার। তার মাঝে এমন ঘটনা ঘটনা আরও উদ্বেগের মুখে রাজ্যবাসী।