সংক্ষিপ্ত
- রাজীবের ক্ষোভ নেভাতে দ্বিতীয় দফার বৈঠক
- সোমবার একটু আগেই বৈঠক শেষ করে বেরোলেন রাজীব
- কোথায় সমস্যা হচ্ছে তা সরাসরি জিজ্ঞেস করা হবে
- মত পার্থক্যের বিষয়েও শীর্ষ নের্তৃত্বকে জানানো হবে
ভোটের আগে রাজ্য-রাজনীতিতে রাজীব দলে তৃণমূলে থাকা নিয়ে সবচেয়ে বড় জল্পনা। আগে শুভেন্দুর দলে থাকা নিয়ে রীতিমত চাপ চলেছে তৃণমূলে বহু দিন ধরেই। তাই ক্ষোভের আগুনে জল ঢালতে আজ বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল তৃণমূল নের্তৃত্ব। সোমবার একটু আগেই দ্বিতীয় দফার বৈঠক সেরে বেরোলেন বনমন্ত্রী।
সোমবার বৈঠক শেষে রাজীব বলেন,' দলীয় কর্মী হিসেবে দলের নেতা ডেকেছে সেই হিসেবে এসেছি। তা নিয়ে এত প্রশ্ন কিসের আমি জানি না। দলের নির্দেশ পালন করে আমি এসেছি। আগের দিন কে বলেছিলাম আবার আসবো. মহাসচিব ডেকেছেন এসেছি। নিন্দুকদের কাজ নিন্দা করা, আমি তো কোনও কথা বলিনি। যা কথা হয়েছে সেটা দলীয় কথা সেটা সংবাদমাধ্যমের সামনে বলা বাঞ্ছনীয় নয়।' শুভেন্দু নিয়ে রাজীব বললেন,' আমার মতামত ব্যক্তিগত। শুভেন্দু বাবুর মতামত ব্যক্তিগত। আমার ব্যাপারটা নিয়ে অন্য কারো সঙ্গে না গলানোই ভাল। কিছু বলার থাকলে আমি নিজে ডেকে বলব।'
পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় বললেন,' দলের সহকর্মীর সঙ্গে কথা বললে খবরের করার কী আছে। দলের কর্মী হিসেবে রাজি রাজীব। আজ আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। ওনার যদি কোন ক্ষোভ থাকে তো দলের মধ্যে উনি মেটাবেন। এটাতে ব্রেকিং নিউজ করার কী আছে।'প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই রাজীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন যে, দলে তিনি গুরুত্ব পাচ্ছেন না। দুর্নীতিগ্রস্ত, স্তাবকরা সামনের সারিতে।'যদিও বিতর্কে আগুন নেভানোর জন্য কিছুদিন আগে 'রাজীব আমার ছোট ভাইয়ের মতো' বলে খোশামত করেন দুয়ারে সরকার প্রকল্পের অনুষ্ঠানে গিয়ে স্বয়ং ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু তাঁতেও চিড়ে ভিজবে কিনা, তা সময় বলবে।