সংক্ষিপ্ত

 মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ও ট্রমা কেয়ার ইউনিটের জন্য রাজ্য সরকারের অর্থ দপ্তর ব্যয় বরাদ্দ ঘোষণা করল। ইউনিট দু’টি তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় ১৩ কোটি টাকা। 

দিশা দেখাতে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ইন্দো-বাংলা সীমান্তের লাইফলাইন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল(Murshidabad Medical College Hospital) সেজে উঠেছে আধুনিক (Modernization) চিকিৎসা বিদ্যার ছোঁয়ায়। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ও ট্রমা কেয়ার ইউনিটের জন্য রাজ্য সরকারের অর্থ দপ্তর ব্যয় বরাদ্দ ঘোষণা করল। ইউনিট দু’টি তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় ১৩ কোটি টাকা। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরেই তা গড়ে উঠবে বলেই মুশিদাবাদ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে। 

এমএসভিপি অমিয়কান্তি বেরা সাংবাদিকদের বলেন, আধুনিকভাবে বার্ন ইউনিটটি তৈরি হবে। ১২টি বেড থাকবে। আলাদা অপারেশন থিয়েটার তৈরি করা হবে। জায়গা চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই কাজ শুরু করতে পারব বলে আশা করছি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপর নির্ভর একাধিক পড়শী জেলা। তাই ইউনিট দু’টি তৈরি হলে মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি নদিয়া এবং বীরভূমের বাসিন্দারা উপকৃত হবেন। 

তাছাড়া ঝাড়খণ্ড থেকেও অনেকেই এখানে চিকিৎসা করানোর জন্য আসেন। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আগের তুলনায় রোগীর চাপ অনেক বেড়েছে বলে দাবি আধিকারিকদের। প্রতিদিন গড়ে আউটডোরে সাড়ে ছ’হাজার রোগী আসেন। প্রায় দেড় হাজার রোগী ভর্তি থাকেন। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল হওয়ার পর থেকেই রোগীর চাপ বেড়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে আই ব্যাঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। সেটি কয়েকদিনের মধ্যেই উদ্বোধন হবে। 

তবে বার্ন ও ট্রমা কেয়ার ইউনিট চালু হলে জেলার বাসিন্দারা অনেক বেশি উপকৃত হবেন।জেলায় হামেশা দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রমা কেয়ার ইউনিটে দুর্ঘটনায় জখমদের আরও ভালো পরিষেবা দেওয়া যাবে। এক আধিকারিক বলেন, বার্ন ইউনিট চালু করা অত্যন্ত জরুরি। এখন হাসপাতালে আগুনে পুড়ে যাওয়া রোগীদের চিকিৎসা হয়। কিন্তু অবস্থা একটু খারাপ হলেই কলকাতায় পাঠাতে হয়। তাতে অনেকের প্রাণ সংশয় হয়।

এমএসভিপি বলেন, আধুনিক ইউনিটে যা যা থাকা দরকার সবটাই আমাদের এখানে থাকবে। সেইমতো অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এখন একটি ওয়ার্ডে আগুনে পুড়ে যাওয়া রোগীদের চিকিৎসা করা হয়। নতুন ইউনিটতে অনেক বেশি রোগীর চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।