সংক্ষিপ্ত
সোমবার সন্ধের দিকে খেজুরি থানার জনকা গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম ভাঙনমারি গ্রামে একটি বোমা বিস্ফোরণ হয়। তার জেরে মৃত্যু হয় একজনের। গুরুতর জখম হন আরও তিন জন। ঘটনার পর জখমদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় তমলুক জেলা হাসপাতালে।
বিজেপি (BJP) ও তৃণমূলের (TMC) সংঘর্ষের জেরে মৃত্যু (Death) হল দু'জনের। জখম আরও চারজন। মৃত (Death) দুই ব্যক্তি তৃণমূলের কর্মী (TMC Worker) বলে জানা গিয়েছে। সোমবার সন্ধে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলার খেজুরির (Khejuri) কামারদায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এই ঘটনায় একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি ও তৃণমূল দুই দলই।
সোমবার সন্ধের দিকে খেজুরি থানার জনকা গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম ভাঙনমারি গ্রামে একটি বোমা বিস্ফোরণ হয়। তার জেরে মৃত্যু হয় একজনের। গুরুতর জখম হন আরও তিন জন। ঘটনার পর জখমদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় তমলুক জেলা হাসপাতালে (Tamluk District Hospital)। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরই একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মৃতের নাম অনুপ দাস। পাশাপাশি কঙ্গন করন নামে এক ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে। ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন তিনি। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ঝলসে গিয়েছে তাঁর গোটা শরীর।
বোমা বাঁধার সময় এই বিস্ফোরণ হয়েছে বলে দাবি করেছে খেজুরির বিজেপি বিধায়ক সান্তনু প্রামাণিক। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস তাদের দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের নাম করে গোড়াহাট, কটকা, দেবিচক গ্ৰামে রাতের অন্ধকারে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালায়। বিজেপি কর্মী বুলা গিরিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে লোহার রড, লাঠি দিয়ে তাঁর পা ভেঙে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়। পরদিনও এলাকার বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালায় শাসকদলের কর্মীরা।
এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়েই জখম বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে যান জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিত, সাধারণ সম্পাদক তাপসকুমার দোলুই, বিধায়ক শান্তনু প্রামানিক-সহ বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্ব। বিজেপির আরও অভিযোগ, সোমবার ভাঙনমারিতে বোমা বাঁধতে যায় তৃণমূল কর্মীরা। তার প্রতিবাদ করে বিজেপি কর্মীরা। আর ঠিক সেই সময়েই হঠাৎ করেই বোমা ফেটে যায়। তার জেরে গুরুতর আহত হন চার তৃণমূল কর্মী। পরে তাঁদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন এক বিজেপি কর্মীও। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে খেজুরি থানার পুলিশ (Khejuri Police Station)।
এনিয়ে মৃতের পরিবারের সদস্য়দের প্রতিক্রিয়া পাওয়া সম্ভব হয়নি। আজ সকাল থেকেই ঘিরে রাখা হয়েছে গ্রাম। এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি জানান, এ নিয়ে পুঙ্খনাপুঙ্খ তদন্ত হবে। তবে বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, ঘটনার পর থেকেই এলাকায় কাউকে ঢুকতে দওয়া হচ্ছে না। আজ সকালে বিজেপি নেতা কর্মীরা এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করলেই তাঁদের উপর চড়াও হন তৃণমূলের লোকজন।