সংক্ষিপ্ত
- বড়দিনে মুক্তির স্বাদ পেলেন ২৯ জন বন্দি
- যাবজ্জ্বীবন সাজাপ্রাপ্ত ২৯ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হল
- রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগার থেকে মুক্তি
- দীর্ঘ বন্দি জীবনের ইতি টেনে বাড়ির পথে
২৫শে ডিসেম্বর উৎসব প্রেমী মানুষের কাছে বড়ই আনন্দের দিন। এদিন পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দে- হইহুল্লোড়ে কাটান সকলে। তবে এবারের ক্রিসমাস স্মরণীয় হয়ে থাকল তাদের কাছেও যারা জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়ে এসেছেন জেলের ছোট্ট কুঠুরিতে।
দেখুন ভিডিও: ক্রিসমাসে সেজে উঠেছে ব্যান্ডেল চার্চ, কৃষ্ণনগর ও রানাঘাটের চার্চে বিশেষ প্রার্থনা
জেলের চার দেওয়ালের মধ্যে বন্ধ থাকা জীবনটাকেই স্বাভাবিক জীবন বলে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তারা। জীবনের কুড়ি বছরেরও বেশি সময় ২৫ ডিসেম্বর কাটিয়েছেন জেলের বদ্ধ দেওয়ালের মধ্যে। ধরে নিয়েছিলেন সেখান থেকে একটি বেরোবে তাদের দেহ। কিন্তু এই বড়দিন তাদের কাছে নিয়ে এল মুক্তির স্বাদ। কোন না কোনও অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে যাবজ্জ্বীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ২৯ জনকে বুধবার মুক্তি দেওয়া হল রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগার থেকে। এদের মধ্যে ৮জন মুক্তি পেলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে।
ধানবাদের বাসিন্দা জসিমউদ্দিন আনসারী ৩২ বছর বয়সে একটি খুনের মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। তার জন্য ২৫ বছর ৩ মাস জেল খেটেছেন। জেলের মধ্যেই তাঁর কর্মজীবন চলছিল, জেলটাই হয়ে উঠেছিল সংসার। হঠাৎ ছন্দপতন দৈনন্দিন রুটিনের। মঙ্গলবার রাতে দায়িত্বে থাকা কারারক্ষীরা জানান বড়দিনের দিন মুক্তি পাচ্ছেন জসিম। মুক্তির খবর পেয়ে কিছুটা সময়ের জন্য হতভম্ব হয়ে পড়েছিলেন তিনি। ফের দেখতে পাবেন বৃদ্ধ বাবা, মা-কে। তাই বুধবার সকালটা একেবারে অন্যরকম জসিমউদ্দিনের জীবনের। জেল থেকে পাওয়া টাকায় বাড়ির দিকে পা বাড়ালেন তিনি।
এদিন মেদিনীপুরের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেলেন পুরুলিয়ার বাসিন্দা একই পরিবারের চার মহিলাও। ১৭ বছর আগে যাবজ্জ্বীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন তারা। বুধবার সকালেই নিজেদের মুক্তির কথা জানতে পারেন সকলে। ছকে বাঁধা জীবন থেকে বেরিয়ে ফের পরিবারের কাছে ফিরতে পারবেন এটা ভেবেই আপ্লুত সকলে।