সংক্ষিপ্ত

সম্প্রতি বাংলাদেশে দুজনে খুনে ২৯ জনকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে সেদেশের আদালত। যা নিয়ে সাড়া পড়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। এমনকী জোরদার আলোচনা চলছে এপার বাংলাতেও।

কোনও দেশ পুরোপুরি ভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে, তো কোনও দেশে নতুন করে লাঘু করা হয়েছে। তবে বর্তমানে ফাঁসির(Execution) সাজা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে গোটা বিশ্বেই। মানবাধিকারের(human rights) প্রশ্নে অনেকে ফাঁসির বিপক্ষে মত পোষণ করলেও, সামাজিক ন্যায় বিচারের রাস্তা সহজ করতে অনেক দেশই বারংবার মৃত্যুদণ্ডের উপর জোরালো সওয়াল করেছে। এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশে(Bangladesh) দুজনে খুনে ২৯ জনকে ফাঁসির সাজা(29 people sentenced to death) শুনিয়েছে সেদেশের আদালত। যা নিয়ে সাড়া পড়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। এমনকী জোরদার আলোচনা চলছে এপার বাংলাতেও। অনেকেই আদালতের রায়ের পক্ষে দাঁড়ালেও অনেকে আবার প্রশ্ন তুলছেন মৃত্যুদণ্ড কি আদৌ অপরাধ কমাতে পারে? জোরদার আলোচনা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়(Social Media)।  

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ৮ বছর আগে রাজশাহিতে ছাত্র লীগের এক নেতাকে খুনের মামলায় এক সঙ্গে ৯ জন আসামিকে ফাঁসির শাস্তি দিয়েছে মহানগর দায়রা আদালত। অন্যদিকে দু’বছর আগে ঢাকার জাতীয় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে পিটিয়ে মারার দায়ে বুধবারই ২০ জন ছাত্রকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। পাশাপাশি ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও দেওয়া হয় ওই মামলায়। আর তা নিয়েই জোরদার আলোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। অন্যদিকে রাজশাহিতে ছাত্র লীগের এক নেতাকে খুনের মামলায় যাবজ্জীবনের সাজাও শোনানো হয়েছে ২০ জনকে। অন্যদিকে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের ১ লক্ষ এবং যাবজ্জীবন পাওয়াদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে আদালতের তরফে। আর তাতেই নানা রকম জল্পনার পাশাপাশি বিতর্কের ঝড় উঠেছে বাংলাদেশের অন্দরেই।

আরও পড়ুন- রাতারাতি কোটিপতি অ্যাম্বুলেন্স চালক, ভাগ্য ফিরল লটারির টিকিটেই

এই ক্ষেত্রে মনে রাখা ভালো, ২০১৩-র ২৮ অগস্ট শাসক দলের ছাত্র নেতা শাহিন আলমকে পিটিয়ে মারে এক দল লোক। এর পরে পুলিশ ৩১ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। তাদের সিংহভাগেরই বড় সাজা হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন করছেন মৃত ছাত্র শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণে কী দোষীদের যাবজ্জীবন বা অন্যান্য সাজা শোনানোর জায়গায় একেবারে মৃত্যুর সাজা শোনানো হল? অনেকেই আবার বলছেন দোষীদের বেশিরভাগই ছাত্র, অনেকই এখনও পড়াশোনার সঙ্গে যুক্ত তাই মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে কী অন্য সাজা দেওয়া যেত না? তবে আদালতের রায়কেও সমর্থন করছেন বহু মানুষ। তবে ২৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশের পরে যে বিতর্ক এত সহজে কমছে না তা সহজেই অনুমেয়। তবে বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত বিশেষ কিছু বলা হয়নি।