সংক্ষিপ্ত

পদত্যাগীদের তালিকায় শহর সভাপতি সন্দীপ আগরওয়াল, শহর সাধারণ সম্পাদক স্বরূপ আচার্য রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। যা নিয়েই বর্তমানে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনীতির ময়দানে।

সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না বঙ্গ বিজেপি-র (BJP in West Bengal)। একদিকে রাজ্য কমিটিতে রদবদলের পর একের পর এক নেতা প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন, তো কেউ সটান চলে যাচ্ছেন তৃণমূলে, কেউ বা ঘাসফুলে যোগ দেওয়ার জন্য রয়েছেন পা বাড়িয়ে। এবার সেই রোগই সঞ্চারিত হতে শুরু করেছে বিজেপি-র তৃণমূল স্তরের কর্মীদের মধ্যে। এমতাবস্থায় এবার বীরভূম বিজেপির সংগঠনে (BJP’s organization in Birbhum) নামল ব্যাপক ধস। একসঙ্গে দলত্যাগ করে দিলেন ৩০ জন। সূত্রের খবর, গতকাল মঙ্গলবার বীরভূমের দুবরাজপুরে (Dubrajpur of Birbhum) বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য-সহ মোট ৩০ জন পদাধিকারী ছাড়লেন পদ। পাশাপাশি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য জেলা কমিটির কাছে লিখিতও আবেদনও জানিয়েছেন তাঁরা, খবর এমনটাই। পদত্যাগীদের তালিকায় শহর সভাপতি সন্দীপ আগরওয়াল, শহর সাধারণ সম্পাদক স্বরূপ আচার্য রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। যা নিয়েই বর্তমানে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনীতির ময়দানে।

এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপি-র জেলা কমিটির সদস্য প্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা এবং দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক অনুপ সাহা দলকে তৃণমূলের হাতে বিক্রি করে দিয়েছেন।বিজেপির কোনও নীতি এবং উন্নয়নের পরিকল্পনা নেই। তাই আমরা একযোগে সকলে পদত্যাগ করলাম। আমরা পদ ও দল দুটোই ছেড়েছি।অন্যদিকে দলত্যাগী বিজেপি-র দুবরাজপুর সহ-সভাপতি সন্দীপ আগরওয়াল বলেন, “তিন দিন আগে বিধায়ক এবং বর্তমান জেলা সভাপতি বৈঠক করেন। সেখানে একটি নির্বাচনী কমিটি তৈরি হয়। অথচ আমাদের তা নিয়ে কিছুই জানানো হয়নি। যা নিয়ে দলের মধ্যে ক্ষোভ তো ছিলই। এদিকে পুরসভা নির্বাচনের আগে এই পদত্যাগ বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন-কবে আসছে সৌরভের বায়োপিক, দাদাগিরির মঞ্চে পর্দা ফাঁস করলেন মহারাজ নিজেই

এদিকে বিপির নেতা-কর্মীদের দলত্যাগের কথা প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় জানান, “বিজেপিতে কেউ সভ্য লোক থাকতে পারে না। সকলকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে স্বাগত জানাই।”প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শেষ বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্য বিজেপির সংগঠনে ব্যাপক ধস নামতে শুরু করে। একাধিক বিধায়ক–সাংসদ থেকে নেতা–কর্মী–সমর্থকরা বিজেপি ছাড়তে শুরু করেন। এদিকে দলত্যাগীদের সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে বিজেপি-র দুবরাজপুরের বিধায়ক অনুপ সাহা খানিক রাগাণ্বিত স্বরেই বলেন, ‘‘দলীয় নীতি মেনে যারা কাজ করেন, তাঁদের সর্বদা সম্মান দেওয়া হয়। যাঁরা তা মেনে চলবে না, তাঁরা নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।