সংক্ষিপ্ত
- অবৈধ অনুপ্রবেশে মালদহে আটক চীনা নাগরিক
- সোমবার তাঁকে মালদহ আদালতে তোলা হয়েছে
- ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
- তদন্তের প্রয়োজনে তাঁকে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়া হতে পারে
অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে মালদহে আটক চীনা নাগরিক। প্রথমে শুধু চোখে ধরা পড়েছিল অবৈধ অনুপ্রবেশ। কিন্তু কান টানলে যে মাথা আসে। উল্লেখ্য, হান জুনওয়ের গ্রেপ্তারে উত্তরপ্রদেশ এটিএস -র তদন্তকারীরা মালদহের পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করেন। এটিএস সূত্রের খবর, সাইবারক্রাইম এবং আর্থিক প্রতারণার একাধিক অভিযোগ রয়েছে ওই চীনা নাগরিকের সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। মালদহের ধৃত চীনা নাগরিক হান জুনওয়ে-র ছয় দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার মালদহ জেলা পুলিশ অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ওই চীনা নাগরিককে মালদহ আদালতে তোলা হয়েছে।মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজরিয়া জানিয়েছেন, অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক চীনা নাগরিককে বিএসএফ গতকাল পুলিশে হস্তান্তর করে। তাঁকে জেরা করে জানার চেষ্টা হবে কোথা থেকে কী উদ্দেশ্যে সে মালদহ সীমান্তে এসে পৌঁছেছিল। এপর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে শুধু বেআইনি অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা শুরু হয়েছে। এদিন ধৃত চীনা নাগরিকের হয়ে মালদা আদালতে হাজির ছিলেন তাঁর আইনজীবী জ্ঞানেন্দ্র দেওয়ান। তিনি বলেন, বৈধ ভিসা নিয়ে ওই চীনা নাগরিক বাংলাদেশে আসেন। ভারতের বৈধ ভিসা তাঁর কাছে ছিল না। ভূলবশত সীমান্ত পেরিয়ে এপারে চলে এসেছিলেন। পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনছে তা খতিয়ে দেখে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন, নিউটাউন এনকাউন্টারকাণ্ডে নয়া মোড়, রহস্যময় ২ যুবতীর উপস্থিতি, ফ্ল্য়াট থেকে মিলল কন্ডোম
মালদহ জেলা আদালতের অ্যাসিস্ট্যান্ট পাবলিক প্রসিকিউটর মেহতাব আলম বলেন, অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন ওই চীনা নাগরিক। তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তাঁকে এক সপ্তাহের পুলিশ হেফাজত চাওয়া হয়েছিল। আদালত ছয়দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেছে। এদিকে হান জুনওয়ের গ্রেপ্তারে এদিন উত্তরপ্রদেশ এটিএস -র তদন্তকারীরা মালদহের পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করেন। এটিএস সূত্রের খবর, সাইবারক্রাইম এবং আর্থিক প্রতারণার একাধিক অভিযোগ রয়েছে ওই চীনা নাগরিকের সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ওই চক্রের ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। প্রায় দুই হাজার ভারতীয় সিম কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। হান জুনওয়ে কেও খোঁজা হচ্ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে 'ব্লু কর্নার' নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলের কাছে আবেদনও জানানো হয়েছে। তদন্তের প্রয়োজনে তাঁকে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য উত্তর প্রদেশ আদালতে তাঁর 'প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট' জারির আবেদন জানানো হতে পারে।