সংক্ষিপ্ত
মোটর-সাইকেল ধরা নিয়ে তিন জন মদ্যপ তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে বচসা, ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ল এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। পাল্টা সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে মোটর-সাইকেল ছাড়ার বিনিময়ে টাকা চাওয়ার অভিযোগ ওই তৃণমূল কর্মীদের।
মালদহ-তনুজ জৈনঃ মোটর-সাইকেল ধরা নিয়ে তিন জন মদ্যপ তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে বচসা, ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ল এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। পাল্টা সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে মোটর-সাইকেল ছাড়ার বিনিময়ে টাকা চাওয়ার অভিযোগ ওই তৃণমূল কর্মীদের। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়। ঘটনার জেরে ওই তিন অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা জুড়ে। এদিকে তৃণমূল কর্মীদের (TMC) সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতিতে জড়িয়ে যাওয়া নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বাদানুবাদ। ঘটনায় উত্তপ্ত হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা (Malda Harishchandrapur)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর শহীদ মোড় এলাকায় প্রতিদিনকার মতোই হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বেশ কিছু সিভিক ভলেন্টিয়ার হেলমেট বিহীন যাত্রীদের গাড়ি ধরেছিল। এই সময়ে মাসুদ আলম, মোহাম্মদ আলী ও নাজিমুল নামে তিন তৃণমূল কর্মী বাইক নিয়ে ওই এলাকা দিয়ে আসছিল। এদের কারোর মাথায় হেলমেট না থাকায় ওই এলাকায় থাকা কর্তব্যরত সিভিক ভলেন্টিয়ার রাকেশ পাশওয়ান ওই তিনজন বাইক আরোহীর গাড়ি থামায়। এবং গাড়ি গুলি আটক করে। এরপরই ওই ৩ বাইক আরোহী ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার কে গাড়ি গুলি ছেড়ে দেওয়ার জন্য দাবি জানায়। কিন্তু ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার গাড়ি ছাড়তে নারাজ, গাড়ি ছাড়তে গেলে ২০০০ টাকা দিতে হবে বলতেই ওই তিন তৃণমূল কর্মী সিভিক ভলেন্টিয়ারের সঙ্গে প্রথমে বচসা তারপর ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে যায় ।
ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এবং ওই তিন তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় নিয়ে যায়। যদিও ওই তৃণমূল কর্মীদের পাল্টা অভিযোগ গাড়ি ছাড়ার জন্য ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার তাদের কাছে ২০০০ টাকা দাবি করেছিল। তাঁরা টাকা দিতে রাজি না হয় তাদের উপর চড়াও হয়। যদিও পুলিশের পাল্টা অভিযোগ ঐ তিন বাইক আরোহী হেলমেট বিহীন ছিলেন এবং মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তাই জন্যই তাদের ধরা হয়। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার পরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এলাকার বিজেপি নেতৃত্বের দাবি রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা তলানীতে। তাই শাসকদলের সর্মথকরা এখন পুলিশ পেটাচ্ছে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। অন্যদিকে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তৃণমূল কর্মী হলেও অন্যায় করে ছাড় পাবে না। গোটা ঘটনায় শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপির চাপানউতোর।