সংক্ষিপ্ত
- আবার আগুন পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীর জঙ্গলে
- রবিবার সেই আগুনে পুড়ে খাক ৪ হেক্টর জমির চারাগাছ
- বিকেলে আগুন নিভিয়ে দেওয়ার পর সন্ধেতে ফের আগুন লাগে
- বন দফতরের অনুমান, শিকার বা কাঠ সংগ্রহের উদ্দেশ্য়েই আগুন লাগানো হয়েছে
আবার আগুন শালবনীতে। এবার শালবনির ভাদুতলা জঙ্গলে কেউ বা কারা আগুন লাগিয়ে দিল রবিবার বিকেলে। আর সেই সঙ্গে পুড়ে খাক হয়ে গেল প্রায় ৪ হেক্টর জমিজুড়ে রোপণ করা চারাগাছ।
রবিবার বিকেলের এই ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও এই প্রথম নয়, বনদফতরের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে বারবার জঙ্গলে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটছে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীতে। দু-একবার বনকর্মী ও হুলা পার্টির সদস্যরা গিয়ে আগুন নেভাতে পারলেও দমকলকে ছুটতে হয়েছে বারংবার। পুলিশ বা জেলে যাওয়ার ভয় দেখিয়েও আটকানো যাচ্ছে না আগুন লাগানোর ঘটনা। মনে করা হচ্ছে, শিকার বা বেআইনিভাবে কাঠ কাটার দুরভিসন্ধিতেই বারেবারে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে শালবনীর জঙ্গলে।
এদিন বিকেল থেকেই ভাদুতলা জঙ্গলে আগুন লাগানোর খবর পেয়েছিলেন বনকর্মীরা। তাঁরা গিয়ে আগুন প্রাথমিকভাবে নিভিয়ে ফিরে এলেও সন্ধে নাগাদ আবার আগুন ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায়। দ্বিতীয়বারের আগুন অনেক বেশি ভয়ানক হয়ে ওঠে বলেই বনকর্মীরা জানান। জঙ্গলের অনেকটা অংশ পুড়িয়ে ওই আগুন ছড়িয়ে পড়ে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। খবর পেয়ে মেদিনীপুর থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিনকে দৌড়াতে হয়। বেশ কিছুক্ষণে চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বনদফতর প্রাথমিকভাবে হিসেব করে রবিবার রাতে জানায়, ওই জঙ্গলে চলতি বছর বহু নতুন চারা গাছ লাগানো হয়েছিল। সন্ধের মধ্যে ৪ হেক্টর জমির চারা গাছ পুড়ে গিয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেগুলোর মধ্য়ে ছিল ওষধি গাছের চারাও। জঙ্গলের মধ্যে বিশেষ প্রজাতির ঘাসও ছিল। সব পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে বলে বনকর্মীরা জানিয়েছেন। বন দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, " শিকার করার উদ্দেশ্য়ে বা কাঠ সংগ্রহের চেষ্টা থেকে পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগানোর চেষ্টা করছে অনেকে । সচেতন ও সাবধান করেও কোনও লাভ হয়নি। এরপর আরও কড়া কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। "