সংক্ষিপ্ত

  • হুগলির বাঁশবেড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির ঘটনা
  • থানার লক আপের মধ্যেই গোপাল পুজো
  • দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই পুলিশফাঁড়িতে পুজো হচ্ছে 
     

উত্তম দত্ত, হুগলি: অনেক থানাতেই এখন ছোটখাটো মন্দিরও থাকে। কিন্তু থানার কোনও মন্দির বা প্যান্ডেল খাটিয়ে আয়োজন নয়, হুগলির বাঁশবেড়িয়ায় থানার লক আপের মধ্যে জন্মাষ্টমীতে নাড়ু গোপালের পুজো সারলেন পুলিশকর্মীরা। এই প্রথম নয়, গত সত্তর বছর ধরে নাকি এভাবেই বাঁশবেড়িয়ার পুলিশ ফাঁড়িতে। 

কিন্তু কেন এভাবে লক আপের মধ্যে গোপাল পুজোর আয়োজন? থানার পুলিশ কর্মীরা জানালেন, যেহেতু শ্রীকৃষ্ণ কারাগারে জন্মেছিলেন, তাই থানার মালখানার লক আপের মধ্যেই নাড়ু গোপালের প্রতীকী পুজো করা হয়। ফাঁড়ির লক আপ ভালভাবে পরিষ্কার করে তাই গোপালের মূর্তি রেখে পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। 

আরও পড়ুন- বাংলাতেই রয়েছে রাবড়ি গ্রাম, জন্মাষ্টমীতে দম ফেলার সময় নেই বাসিন্দাদের

আরও পড়ুন- মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ে লোকনাথধামে পদপিষ্ট হয়ে মৃত একাধিক, আহত বহু

জন্মাষ্টমীর সন্ধ্যায় বাঁশবেড়িয়ার পুলিশ ফাঁড়ির চেনা ছবিটা বদলে গিয়ে রীতিমতো উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। আলো দিয়ে সাজানো হয়েছিল গোটা পুলিশ ফাঁড়ি। থানার চত্বরেই রাধাকৃষ্ণের মূর্তি রেখে সেখানেও আলাদা পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয় লুচি এবং বোঁদে। সন্ধ্যায় সেখানে আসেন বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত, হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার তথাগত বসুও।

তথাগতবাবু জানান, দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য মেনেই এই পুজো করা হচ্ছে। বাইরে গাছতলায় রাধাকৃষ্ণ পুজো হলেও প্রতীকী কারাগার হিসেবেই মালখানা পরিষ্কার করে সেখানে গোপালের মূর্তি রেখে পুজো করা হয়। ফাঁড়ির ইনচার্জ সুজিত রায় জানান, প্রায় সত্তর বছর ধরে এ ভাবেই এখানে জন্মাষ্টমী পালিত হয় ।