সংক্ষিপ্ত
ভারতীয় রেলের প্রায় ৮০০০ স্টেশন রয়েছে। একটি স্টেশনকে অন্য একটি স্টেশন থেকে আলাদা করা হয় দুটি বিষয়ের মাধ্যমে, একটি হল তার নাম এবং অন্যটি হল তার কোড নম্বর। তবে এই রাজ্যে এমন একটি রেলস্টেশন রয়েছে যার নিজস্ব কোনও পরিচয় নেই। এটি একটি নাম-গোত্রহীন রেলস্টেশন।
সত্যি, কত কিছুই না ঘটে গোটা বিশ্বে (World)। সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) দৌলতে তার অনেক কিছুই আমাদের জানা হয়ে যায়। তবে এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা আমরা হয়তো ঠিক মতো জানতে পারি না। এশিয়ার (Asia) দ্বিতীয় বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক (Rail Network) হল ভারতীয় রেল (Indian Railway)। শুধু তাই নয়, সরকারি মালিকানার দিক থেকেও ভারতীয় রেল বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক। আর ভারতে রেল স্টেশনের (Rail Station) সংখ্যাও প্রায় ৮ হাজারের কাছাকাছি হবে। আর সেই স্টেশনের মধ্যে এমন একটি স্টেশন রয়েছে যার কোনও নামই নেই। সবথেকে বড় বিষয় হল এই স্টেশনটি অবস্থিত রয়েছে পশ্চিমবঙ্গেই (West Bengal)। তার নাম হয়তো অনেকেই শুনেছেন। কিন্তু, যাঁরা জানেন না তাঁদের কাছে বিষয়টি সত্যিই অবাক করার মতোই।
ভারতীয় রেলের প্রায় ৮০০০ স্টেশন রয়েছে। একটি স্টেশনকে অন্য একটি স্টেশন থেকে আলাদা করা হয় দুটি বিষয়ের মাধ্যমে, একটি হল তার নাম এবং অন্যটি হল তার কোড নম্বর (Code Number)। আর কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সময় সেই স্টেশনগুলি অনেক সময় আমাদের নজরে আসে। তবে এই রাজ্যে এমন একটি রেল স্টেশন রয়েছে যার নিজস্ব কোনও পরিচয় নেই। এটি একটি নাম-গোত্রহীন রেলস্টেশন।
কোথায় অবস্থিত রয়েছে স্টেশনটি?
স্টেশনটি বর্ধমান থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। বাঁকুড়া ও মসাগ্রাম রেল লাইনের (Rail Line) মধ্যেই পড়ে এই স্টেশন। আসলে এই স্টেশন দুটি গ্রামের মধ্যে অবস্থিত। একটি রায়না, অপরটি রায়নাগড়। প্রথমে অবশ্য এই স্টেশনের একটা নাম ছিল। রায়নাগড়ের নাম অনুসারেই স্টেশনের নাম রাখা হয়েছিল। দেওয়া হয়েছিল রায়নাগড়। কিন্তু, স্টেশনের এই নাম দেখে মুখ ভার হয়ে গিয়েছিল রায়না গ্রামের বাসিন্দাদের। কেন শুধুমাত্র স্টেশনের নাম রায়নাগড় দেওয়া হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁরা। আসলে এই স্টেশনটি রায়না গ্রামের জমিতেই নির্মিত হয়েছিল। শুধু তাই নয় টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রেও এই নামেই ব্যবহার করা হত। তাই রায়নার বাসিন্দারা এই স্টেশনের নাম পরিবর্তনের দাবি তুলেছিলেন।
আর স্টেশনটির নাম পরিবর্তন নিয়ে দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে তুমুল ঝগড়া শুরু হয়। এই বিবাদের খবর পৌঁছে গিয়েছিল রেলওয়ে বোর্ডের কাছেও। তারপরই রেল কর্তৃপক্ষ এই স্টেশনের নাম মুছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তারপরই স্টেশনের সাইনবোর্ড থেকে রায়নাগড় নামটি মুছে দেওয়া হয়। ফলে এখন এই স্টেশনে গেলে কেবলমাত্র চোখে পড়বে ফাঁকা হলুদবোর্ড। যার জেরে দূর-দূরান্তের যাত্রীদের স্বাভাবিকভাবে কিছুটা অসুবিধার মুখেও পড়তে হয়। কিন্তু হলে কী হবে, রেল স্টেশনটি এখনও নাম-হীন গোত্রহীন। তবে এখনও পুরনো নামেই (রায়নাগড়) টিকিট দেওয়া হয়। সেই নিয়ে অবশ্য এখনও পর্যন্ত দুই গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কোনও ঝগড়া হয়নি!