সংক্ষিপ্ত

ইতিমধ্যেই দক্ষিনেশ্বরের মন্দির থেকে শুরু কালীঘাট সর্বত্রই নেমেছে করোনার কোপ। জারি হয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ। এবার সেই তালিকায় নবতম সংযোজন তারাপীঠ।

দেশের পাশাপাশি গোটা রাজ্যেই হু হু করে বেড়ে চলেছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ(Outbreaks of coronavirus)। বর্তমানে প্রত্যই প্রায় গোটা রাজ্যে দৈনিক গড়ে ১৫ হাজারের কাছাকাছি সংক্রমণ(around 15,000 infections occur daily) দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। প্রশাসনের গুঁতোয় শেষ পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হল তারাপীঠের সমস্ত লজ(All the lodges of Tarapith)। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত তারাপীঠ মন্দির বন্ধের একটি ধাপ বলে মনে করছেন অনেকে। এদিকে ইতিমধ্যেই দক্ষিণেশ্বরের(dakshineswar) মন্দির থেকে শুরু কালীঘাট(Kalighat) সর্বত্রই নেমেছে করোনার কোপ। জারি হয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ। এবার সেই তালিকায় নবতম সংযোজন তারাপীঠ। এদিকে হোটেল, লজ বন্ধ হলে যে তারাপীঠে আগাত ভক্তদের সংখ্যা অনেকটাই কমবে তা বলাই বাহুল্য। প্রসঙ্গত, করোনা অতিমারির কারণে ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যেই বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার।

পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে যথাযথ ভাবে করোনা বিধি পালনের উপরেও বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হয়েছে। ওই নির্দেশ জারি করার পরেই ৪ জানুয়ারি রামপুরহাট মহকুমা শাসক সাদ্দাম নাভাস, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সায়ন আহমেদ, তারাপীঠ হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুনীল গিরি, মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়দের নিয়ে তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের সভাকক্ষে জরুরী বৈঠক করেন বলে জানা যায়। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এখন থেকে তারাপীঠের সমস্ত হোটেল বন্ধ থাকবে। যদিও এই নির্দেশিকায় স্বভাবতই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে হোটেল মালিকদের মধ্যে। এদিকে এর আগে হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুনীল গিরি জানিয়েছিলেন লিখিত নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত কোন হোটেল বন্ধ করা হবে না। এনিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয় হোটেল ব্যবসায়ীদের। শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ ৯ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সমস্ত লজ বন্ধের কথা ঘোষণা করে হোটেল ব্যবসায়ী সমিতি।

আরও পড়ুন-কোভিডে কাঁপছে দেশ, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রবির বিকালেই জরুরি বৈঠকে মোদী

এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুনীল গিরি বলেন, "তারাপীঠে বহু হোটেল রয়েছে যারা ব্যাংকের ঋণ ঠিকঠাক মেটাতে পারে না। তাদের কথা ভেবেই হোটেল বন্ধ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু করোনা যে গতিতে বাড়ছে তাতে আমরা হোটেল বন্ধ করতে বাধ্য হলাম"। হোটেল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এদিন সকাল থেকেই হোটেল খালি করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা রাজ্যে করোনার কবলে পড়েছে ১৮ হাজারের বেশি মানুষ। পজিটিভিটি হার গিয়ে ঠেকেছে ৩০ শতাংশ। অন্যদিকে উদ্বেগ বাড়িয়ে হু হু করে বড়ে চলেছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও।