সংক্ষিপ্ত

  • মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের ঘটনা
  • বাড়ির মধ্যেই খুন স্কুল শিক্ষক-সহ পরিবার
  • খুনের উদ্দেশ্য নিয়ে ধন্দে পুলিশ
     


মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে স্ত্রী, পুত্র- সহ শিক্ষক খুনের ঘটনায় এখনও অন্ধকারে পুলিশ। রহস্যের সমাধান করতে আপাতত নিহত দম্পতির মোবাইল ফোনগুলিই ভরসা তদন্তকারীদের। মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরেই নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের কিনারা করার চেষ্টা চলছে। 

দশমীর দিন মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের লেবুতলা এলাকায় এক স্কুল শিক্ষক- সহ তাঁর সন্তানসম্ভবা স্ত্রী ও ছেলে সহ মোট তিনজনের দেহ উদ্ধার হয় তাঁদের বাড়ি থেকে।  মৃত ওই স্কুল শিক্ষকের নাম বন্ধুপ্রকাশ পাল (৩৫), স্ত্রী বিউটি মণ্ডল পাল (৩০) ও তাঁদের বছর আটের ছেলে বন্ধুঅঙ্গন পাল। তিনজনেরই ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

আরও পড়ুন- বাড়িতেই নৃশংস হত্যাকাণ্ড, মুর্শিদাবাদে অন্তসত্ত্বা স্ত্রী, পুত্র-সহ 'খুন' স্কুল শিক্ষক

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, নিহত স্কুল শিক্ষকের বাড়ি থেকে কোনও জিনিস খোয়া যায়নি। ফলে ব্যক্তিগত আক্রোশ বা অন্য কোনও উদ্দেশ্যে এই খুন কি না, সেটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। খুনের পরে ঘরের ভিতর থেকে একটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। সম্ভবত ওই অস্ত্র ব্যবহার করেই তিনজনকে খুন করা হয়েছে। 

তদন্তকারীদের ধারণা, হয় পরিচিত কেউই স্কুল শিক্ষক এবং তাঁর পরিবারকে খুন করেছে, তা না হলে পরিচিত কারও মাধ্যমেই বাড়িতে ঢুকেছিল আততায়ী। নিহত স্কুল শিক্ষক এবং তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনের কল লিস্ট খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা জানতে চাইছেন, মৃত্যুর আগে কাকে কাকে ফোন করেছিলেন ওই দম্পতি। সেই সূত্র ধরেই আততায়ী বা খুনের চক্রীর খোঁজ করতে চাইছে পুলিশ। 

স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের একাংশ দাবি করেছিল, নিহত ওই স্কুল শিক্ষক শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু তৃণমুলের লালবাগ মহকুমা সভাপতি তথা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মধক্ষ রাজীব হোসেন জানিয়েছেন, নিহত বন্ধুপ্রকাশ পাল কোনওভাবেই শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না।