সংক্ষিপ্ত

  • খেলতে খেলতে ২ ইঞ্চির পেরেক গিলে ফেলেছিল একরত্তি
  • ২১ ঘণ্টা তার শ্বাসনালীতে আটকে ছিল পেরেকটি
  • রবিবার ভোরে মালদা থেকে এসএসকেএম নিয়ে আসা হয় তাকে
  • বিরল অস্ত্রোপচারে নব জীবন লাভ ওই শিশুর

বয়স মাত্র দু'বছর। এই বয়সে বাচ্চারা হাতের সামনে যা পায় তাই মুখে ঢুকিয়ে নেয়। বাদ যায়নি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের ইটাহারের এক শিশু। খেলতে খেলতে দু ইঞ্চির একটি পেরেক মুখের মধ্যে ঢুকিয়ে গিলে ফেলে। কিন্তু, সেই পেরেক আটকে গিয়েছিল তার শ্বাসনালীতে। ২১ ঘণ্টা তার শ্বাসনালীতে আটকে ছিল পেরেকটি। আদৌ একরত্তিকে বাঁচাতে পারবেন কিনা তা ভেবে পাচ্ছিলেন না পরিবারের সদস্যরা। এরপর বিরল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই শিশুকে নবজীবন দান করলেন চিকিৎসকরা। 

আরও পড়ুন- ২ গোষ্টীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র একবালপুর, কলকাতায় পুলিশকে লক্ষ্য করেই চলল গুলি বর্ষণ

শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে তাদের বাড়ির সামনে বেড়া দেওয়ার কাজ চলছিল। সেই সময় খেলতে খেলতে একটি পেরেক মুখে ঢুকিয়ে তা গিলে ফেলেছিল সে। এরপর ঘরে ফেরার পর থেকেই তার বমি শুরু হয়। তার সঙ্গে রক্তও বের হতে শুরু করে। পেরেকটি শ্বাসনালীতে আটকে থাকার ফলে তার শ্বাস নিতেও সমস্যা হচ্ছিল।  

আরও পড়ুন- ফের জম্মুতে হানা দিল জোড়া ড্রোন - এবার কালুচক সেনাঘাঁটিতে, চলছে জোর তল্লাশি

ক্রমেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তখনই বাড়ির লোকের সন্দেহ হয়, যে কিছু একটা খেয়েই সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। প্রথমে রায়গঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে এক্সরে করে দেখা যায় যে তার শ্বাসনালীতে একটি পেরেক আটকে রয়েছে। কিন্তু, রায়গঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা পরিকাঠামো না থাকায় তাকে মালদা মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।

আরও পড়ুন- পণের দাবিতে স্ত্রীকে মেরে বাঁশবাগানে ঝুলিয়ে দিল স্বামী, রেহাই পেল না এক বছরের সন্তানও

কিন্তু, সেখানকার চিকিৎসকরাও তার শ্বাসনালী থেকে পেরেক বের করতে পারেনি। ধীরে ধীরে ওই শিশুর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে শুরু করে। একাধিকবার বমি করার ফলে তার শরীরে আর কোনও জোর ছিল না। কিন্তু, হাল ছাড়েননি ওই শিশুর পরিবারের সদস্যরা। রবিবার ভোরের দিকেই তাকে নিয়ে আসা হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। সঙ্গে সঙ্গে তার শারীরিক পরীক্ষা করা হয় ও দ্রুত অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করা হয়। সকাল সাড়ে আটটায় শুরু হয় অস্ত্রোপচার। এসএসকেএমের ইএনটি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে নব জীবন দান করেন। এই মুহূর্তে ওই শিশুর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।