সংক্ষিপ্ত

  • পণের দাবিতে স্ত্রী-সন্তানকে খুন
  • খুন করে বাঁশ বাগানে ঝুলিয়ে দিল স্বামী
  • রেহাই পেল না এক বছরের পুত্র সন্তানও
  • অভিযুক্ত স্বামী পলাতক

বাঁশ বাগানের মধ্যে থেকে জোড়া মা ও ছেলের রহস্যজনক মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সোমবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো মুর্শিদাবাদের দেবাইপুর এলাকায়। এক বছরের এক শিশু সন্তান সহ ঐ মায়ের মৃতদেহ স্থানীয়দের নজরে আসতে তড়িঘড়ি তারা খবর দেয় পুলিশ এ। মৃত মায়ের নাম তাহেরা বিবি (২১) ও ছেলে তৌফিক ইসলাম। 

এই ব্যাপারে মুর্শিদাবাদের এক উচ্চ পুলিশ আধিকারিক বলেন, “ ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অন্যদিকে মৃতের স্বামীর খোঁজ শুরু করা হয়েছে ।” এদিকে পুলিশ মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে ইসলামপুর থানার চরপাড়া এলাকার বাসিন্দা সাদিকুল শেখের সঙ্গে বিয়ে হয় তাহেরা বিবির। বিয়ের সময় বরপণ হিসেবে কিছু নগদ টাকা, তিন ভরি সোনার গয়না ও আসবাবপত্র পাত্র পক্ষকে দেওয়া হয়। 

কিন্তু বিয়ের পর থেকেই সাদিকুল শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যচার শুরু করে তাহেরার উপর। ইতিমধ্যে দুই সন্তানের জননী হন তাহেরা। তাতেই তাহেরার উপর অত্যাচার বেড়ে যায় তার স্বামীর। ওই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মাস ছয়েক আগে কোলের সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে আসে  তাহেরা। কিন্তু দু দিন আগে এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে সাদিকুল হাজির হয় শ্বশুর বাড়িতে। নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে তাহেরাকে নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যায় সাদেকুল।

তার পরেই এদিন দুই পরিবারের বাড়ির মাঝামাঝি এলাকার একটি বাঁশ বাগান থেকে মা ও সন্তানের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হতেই, প্রশ্ন উঠেছে এই মৃত্যুকে ঘিরে। এই ব্যপারে মৃতের মা গোলেনুর বিবি অভিযোগ করে বলেন, “মেয়েকে পিটিয়ে প্রাণে মেরে তার পর বাঁশঝাড়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। মেয়ে কোন ভাবেই স্বামীর বাড়ি ফিরে যেতে চাইছিলো না, জোরাজুরি না করলে ওর এই অবস্থা হত না।” তবে সাদিকুলের উচিৎ সাজা দাবি করেছেন মৃতের মা গোলেনুর।