সংক্ষিপ্ত
দিন পাহারায় নেমে পড়ল আদিবাসী মেয়ে ও মহিলারা।তাঁদের অভিযোগ- রাজনৈতিক নেতা নেত্রী দের বলেও কিছু হয় না।
তৃনাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় - এবার জমি মাফিয়াদের তাড়াতে, গাছ কেটে নেওয়া রুখতে, নিজেদের শৌচ কর্ম, স্নান, দাহ সংস্কার এবং পরিবেশ বাঁচাতে দিন পাহারায় নেমে পড়ল আদিবাসী মেয়ে ও মহিলারা। কেউ নদীর পাড়ে বাসন মাজার অছিলায়, কেউ বা গাছের নিচে আবার কেউ জঙ্গলের মাঝে বসে পাহারা দিতে শুরু করল। তাড়িয়েও দিল অবৈধ ভাবে গাছ কাটা বা নদীর জমি দখল করা জমি মাফিয়াদের। বন্ধ করে দেওয়া হল গাছ কাটাও।
তাঁদের অভিযোগ- রাজনৈতিক নেতা নেত্রী দের বলেও কিছু হয় না। তাই তারাই ঠিক করেছে উত্তর আসানসোলের হুচুক পাড়ায় এ সব কাজ করতে দেওয়া হবে না। নিজেরাই প্রতিবাদ করবে। এই অশিক্ষিত গরিব আদিবাসীদের কাছে জমি কেনার টাকা নেই। বাড়ি করার ক্ষমতাও নেই। কিন্তু এই আদিবাসী পরিবারগুলিতে কোনও শৌচালয় নেই। যদি বা এক দুটো আছে তার আবার নিকাশি ব্যবস্থা নেই। ফলে নোংরা জল জমে থাকার কারণে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে উঠেছে মাত্র কয়েকটি শৌচালয়। যে কারণে নদীর পাড় বা জঙ্গলই হুচুক পাড়ার আদিবাসী মানুষগুলোর একমাত্র ভরসা।
তাঁদের দাবি স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। নিজেদের বাড়ির মেয়েদের সম্মান, পরিবেশ রক্ষা, এবং শৌচকর্ম, স্নান, ও নদীর ধারে অবৈধ কাজে লিপ্ত মাফিয়াদের তাণ্ডবের প্রতিবাদ করতে নিজেরাই দল তৈরি করে ফেলেছে এই গরীব মানুষগুলো। দৃপ্ত কণ্ঠে জানাচ্ছে -তারাই রক্ষা করবে পরিবেশ। কোনোমতেই অবৈধ জমিদখল, গাছ কাটা, জঙ্গল কেটে ফেলতে দেবেন না তারা।