সংক্ষিপ্ত

'জাতীয় মানবধিকার কমিশনের রিপোর্টে একাধিক অসংঙ্গতি রয়েছে'  ভোট পরবর্তী হিংসার ইস্যুতে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে জোরদার সওয়াল আইনজীবি তথা রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি। গুজরাট দাঙ্গার প্রসঙ্গ তুলে নিরপেক্ষ সংস্থা দিয়ে তদন্তের দাবি তুললেন মামলাকারীর আইনজীবী।

'জাতীয় মানবধিকার কমিশনের রিপোর্টে একাধিক অসংঙ্গতি রয়েছে'  ভোট পরবর্তী হিংসার ইস্যুতে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে জোরদার সওয়াল আইনজীবি তথা রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি। গুজরাট দাঙ্গার প্রসঙ্গ তুলে নিরপেক্ষ সংস্থা দিয়ে তদন্তের দাবি তুললেন মামলাকারীর আইনজীবী। ২৬ জুলাই মধ্য়ে রাজ্য-সহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে হলফনামা দেওয়ার দিয়েছে আদালত। পরবর্তী শুনানি ২৮ জুলাই।

আরও পড়ুন, বাংলার 'নির্বাচনে অত্যাচারিত ৩৫ হাজার মহিলা', কী করে 'দেশ চাইছেন', মমতাকে নিশানার রুপার

বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি চলাকালীন অভিষেক মনু সিংভি বলেছেন, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে জাতীয় মানবধিকার কমিশন (NHRC)-এর রিপোর্ট উদ্দেশ্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্য় প্রণোদিত। রিপোর্টে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে। যে যে ঘটনার উল্লেখ রয়েছে, তার বেশিরভাগটাই ভোটের আগেকার। সেই সময় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশনের হাতে। এ থেকেই বোঝা যায়, NHRC-র রিপোর্ট পক্ষপাতদুষ্ট। ভোট পরবর্তী সময়ে হিংসার ইস্যুতে যে যে রিপোর্ট জমা পড়েছে, তার অনেকগুলিই ইতিমধ্যে পুলিশ পদক্ষেপ নিয়েছে।' এই মামলার পরবর্তী ২৮ জুলাই।

আরও পড়ুন, 'পশ্চিমবঙ্গে চলে শাসকের আইন, আইনের শাসন নয়', ২১-এ 'শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস' পালন শুভেন্দুদের

অপরদিকে, ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় মানবধিকার কমিশন। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে প্রশাসনের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এই রিপোর্টকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। রাজ্যের প্রতিটি থানার কাছে তথ্য চেয়ে নবান্ন।এদিন কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানি রাজ্য়ের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেছেন, জাতীয় মানবধিকার কমিশন (NHRC)যে রিপোর্ট পাঠিয়েছে, তার মধ্য়ে একটি Anexture (আই) আমরা পাইনি। যেখানে রাজ্যে ধর্ষণ এবং অভিযোগের বিবরণ দেওয়া হয়েছে। ৩৫০০ পাতার রিপোর্ট পড়ে উত্তর দিতে সময় লাগবে।'