সংক্ষিপ্ত
অসহায় মানুষের হাতে এই দিনে উপহার তুলে দিলেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। কেক থেকে শুরু করে শীতবস্ত্র এক কথায় বড়দিনের উপহার তুলে দিয়েছেন সেই সব অসহায় মানুষের হাতে। আর এই উপহার পেয়ে অত্য়ন্ত খুশি তাঁরা।
বড়দিন (Christmas Day) মানেই কেক (Cake) আর উপহার (Presentation)। আর তার সঙ্গে পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া। সেই আনন্দ গায়ে মেখে সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ভিড় উপচে পড়ছে। কচি-কাঁচা থেকে শুরু করে বড়রা, শীতের আমেজ (Winter Season) গায়ে মেখে বড়দিনের আনন্দে সামিল হয়েছেন সবাই। কিন্তু, অসহায় পথশিশু বা ফুটপাথবাসীর ক্ষেত্রে এই দিনটাও বাকি পাঁচটা দিনের সমান। অন্যরকম কোনও আনন্দই নেই। আর এবার তাদের জন্য স্যান্টাক্লজের (Santa Claus) ভূমিকায় দেখা গেল প্রশাসনের আধিকারিকদের।
অসহায় মানুষের হাতে এই দিনে উপহার তুলে দিলেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। কেক থেকে শুরু করে শীতবস্ত্র (Winter Clothes) এক কথায় বড়দিনের উপহার তুলে দিয়েছেন সেই সব অসহায় মানুষের হাতে। আর এই উপহার পেয়ে অত্য়ন্ত খুশি তাঁরা।
শীতে কাঁপছে গোটা রাজ্য। চলতি বছরে পৌষের শুরুতেই জাঁকিয়ে শীত পড়ে গিয়েছে। আর এই কনকনে ঠান্ডার মাঝেই রাস্তার ধারে শুয়ে দিন কাটে বহু মানুষের। ভালো শীত পোশাক কেনার মতোও সামর্থ নেই তাঁদের। আর সেই সব মানুষগুলোর হাতেই শীতের চাদর থেকে কম্বল ও কেক তুলে দিলেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। শুক্রবার রাতে হঠাৎই ঘাটাল মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে ঘাটাল মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অগ্নিশ্বর চৌধুরী ও ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারীর প্রতিনিধি রাম পদ মান্না গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ঘাটালের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। রাস্তার ধারে শীতের রাতে অসহায় মানুষগুলোর হাতে তুলে দেন শীতবস্ত্র এবং বড়দিনের কেক।
আরও পড়ুন- করোনা ফাঁস আলগা হতেই নতুন ছন্দে জমে উঠেছে বাঙালির বড়দিন, জেলায় জেলায় উৎসবের মেজাজ
এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, "অন্যান্য বছর শীতের সময় আমরা এই কর্মসূচি নিয়ে থাকি। কিন্তু এবছর বড়দিনের আগের রাতে শীতবস্ত্র ছাড়াও কেক উপহার তুলে দিয়ে বড়দিনে সবাইকে আনন্দ দিতে চেয়েছি।"
আরও পড়ুন- সান্তা সেজে দুঃস্থদের কেক বিলি করলেন পুলিশকর্মীরা, পরিয়ে দিলেন শীতবস্ত্রও
অন্যদিকে মেদিনীপুর শহরের সিপাই বাজার এলাকাতে খ্রিস্টান হিন্দু মহামেডান ক্লাবের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে পালন করা হল বড়দিনের সকালটা। রাস্তায় শোভাযাত্রা, পথচারীদের কেক চকলেট বিলি, সেইসঙ্গে বৃক্ষরোপণ করা হল ক্লাবের পক্ষ থেকে। সংক্ষেপে এই ক্লাবকে সিএইচএমএ ক্লাব বলা হয়। বছরের প্রতিটি ধর্মের উৎসবে ধর্ম নিরপেক্ষ ভাবে সামিল হন এই ক্লাবের সদস্যরা। বড়দিনেও সকাল থেকেই উৎসবের আনন্দে মেতে উঠলেন তাঁরা। শনিবার সকালে খুদেদের শান্তা সাজিয়ে এলাকায় শোভাযাত্রা বের করেন। শান্তির প্রতীক হিসেবে শান্তির বেলুন ওড়ান। এরপর রাস্তা দিয়ে যাওয়া বাস, অটো, টোটোতে থাকা যাত্রীদের চকলেট ও কেক বিলি করে শোভাযাত্রায় থাকা খুদে সান্তারা। পরে ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সামনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে যোগ দেয় সবাই।