সংক্ষিপ্ত

 

  • মাধ্যমিকে কড়া ব্যবস্থা
  • পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা
  • মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না শিক্ষিক-শিক্ষিকারাও
  • প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবে মেডিক্যাল ক্যাম্পও

পরীক্ষার্থীদের তো প্রশ্নই নেই। এবছর পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে ঢুকতে পারবেন না শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। জেলায় নির্বিঘ্নেই মাধ্যমিক পরীক্ষা আয়োজনে সবরকম ব্য়বস্থা নিয়েছে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। 'স্পর্শকাতর' পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির আশেপাশে ২০০ মিটার এলাকা জুড়ে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। পরীক্ষাকেন্দ্র কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে, থাকবে চিকিৎসার ব্যবস্থাও। প্রয়োজনে হাসপাতালে বসেও পরীক্ষা দিতে পারবে পড়ুয়ারা।

আরও পড়ুন: মাও উপদ্রুত এলাকার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য বোর্ড পুলিশের, চালু হল বিশেষ হেল্পলাইন

পুরুলিয়া জেলায় এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ৪৫ হাজার ৩২ জন। ছাত্র ২০ হাজার ৪৫৫ জন, আর ছাত্রী ২৪ হাজার ৫৭৭ জন। গতবারের তুলনা এবছর ছাত্র ও ছাত্রী উভয় পরীক্ষার্থীর সংখ্যাই বেড়েছে। পরীক্ষা নেওয়া হবে ১১৭টি কেন্দ্রে। পুলিশ সূত্রে খবর, আড়ষা, বান্দোয়ান, ঝালদা-১, জয়পুর ও রঘুনাথপুর-সহ জেলার বিভিন্ন ব্লকের ১২টি পরীক্ষাকেন্দ্রকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওইসব পরীক্ষাকেন্দ্রে অতিরিক্ত নিরাপত্তা তো থাকবেই, আশেপাশের ২০০ মিটার এলাকা জুড়ে থাকবে ১৪৪ ধারা। অর্থাৎ পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রের বাইরে কোনওরকম জমায়েত করা যাবে না। এখানেই শেষ নয়। পরীক্ষাকেন্দ্র যদি কোনও পড়ুয়া, এমনকী শিক্ষিক কিংবা শিক্ষিকাও যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন, সেক্ষেত্রে চিকিৎসার বন্দোবস্তও থাকছে।

 

জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে বসছে মেডিক্যাল ক্যাম্প। যদিও কোনও পরীক্ষার্থী অসু্স্থ হয়ে পড়েন, তাহলে ক্যাম্পেই প্রাথমিক চিকিৎসা মিলবে। এছাড়াও স্রেফ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত বেড রাখা থাকবে পুরুলিয়া সদর-সহ প্রতিটি ব্লক হাসপাতালেও।  এমনকী, প্রয়োজনে পরীক্ষা দেওয়া যাবে হাসপাতাল থেকেও!