সংক্ষিপ্ত

রাজ্য সরকার মাঝে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেনীর পঠন পাঠন শুরু করলেও করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় তাও দুসপ্তাহ পরে বন্ধ করে দেয়। আর প্রাথমিক স্কুল তো খোলেইনি।

রাজ্য সরকারের (West Bengal Govt) নির্দেশ অনুযায়ী দুবছর পর বুধবার (Wedneaday) থেকে স্কুল (School) খুললেও সেভাবে দেখা মেলেনি পড়ুয়াদের (Student)। অভিভাবক (Parents) থেকে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কোভিড আতঙ্ক কাটাতে এবং ছাত্রছাত্রীদের স্কুলমুখী করার লক্ষ্যে স্কুলের শিক্ষক (Teacher) শিক্ষিকারাই ঘুরছেন দুয়ারে দুয়ারে। স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের পাঠাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবেদন জানালেন স্কুলের শিক্ষকেরা। করোনা আবহ কাটিয়ে দুবছর পর ছাত্রছাত্রীদের স্কুলমুখী করতে এমনই অভিনব উদ্যোগ দেখা গেল রায়গঞ্জ ব্লকের নোয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। শিক্ষকদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্কুলের অভিভাবকেরা। 

২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে অতিমারি করোনার প্রকোপের কারনে সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় সমস্ত স্কুল কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রাজ্য সরকার মাঝে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেনীর পঠন পাঠন শুরু করলেও করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় তাও দুসপ্তাহ পরে বন্ধ করে দেয়। আর প্রাথমিক স্কুল তো খোলেইনি। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পাড়ায় শিক্ষালয়ের মাধ্যমে প্রাথমিক স্কুলের পঠন পাঠন শুরু করে।  এবার পাকাপাকিভাবে বুধবার থেকে খুলে দেওয়া হয় রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক স্কুল। 

রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী দুবছর পর রায়গঞ্জ ব্লকের নোয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ও খোলা হয়। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে স্কুলে প্রথম দিনেই উপস্থিতির সংখ্যা একেবারেই কম দেখা যায়। স্কুল কর্তৃপক্ষের ধারনা করোনা সংক্রমণের ভয়ে অভিভাবকেরা তাদের খুদে পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠাতে চাইছে না। আর সেই কারনে নোয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নোয়াপাড়া গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের পাঠানোর আবেদন করছেন৷ স্কুলে রীতিমতো কোভিড বিধি মেনে পঠন পাঠন করানো হচ্ছে,  শিশুদের স্কুলে কোনও সংক্রমণের ভয় নেই তা অভিভাবকদের বোঝাচ্ছেন। 

অভিভাবকেরা জানিয়েছেন স্কুলের শিক্ষকেরা এসে স্কুলে শিশুদের পাঠানোর কথা বলে গেলেন। আগামীকাল অর্থাৎ ১৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে তাঁরা শিশুদের স্কুলে পাঠাবেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক নীরেন্দ্র নাথ দাস বলেন আজ বুধবার আমাদের এই নোয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুরুর প্রথম দিনেই আমরা খেয়াল করেছি অভিভাবকেরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠান নি। তাই অভিভাবকদের মধ্যে করোনা নিয়ে ভয়ভীতি কাটাতে এবং স্কুলে শিশুদের পাঠানোর জন্য তাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে আবেদন করে এসেছি।