সংক্ষিপ্ত
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে গঙ্গাসাগর থেকে অগ্নিদগ্ধ মহিলাকে ৪৫ মিনিটে আনা হল হাওড়ায়। চিকিৎসা পরিষেবায় নজির রাজ্য সরকারের।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ( Air Ambulance) গঙ্গাসাগর ( Gangasgar) থেকে অগ্নিদগ্ধ মহিলাকে ৪৫ মিনিটে আনা হল হাওড়ায়। চিকিৎসা পরিষেবায় নজির রাজ্য সরকারের। গঙ্গাসাগরের শীতের রাতে আগুন পোয়াতে গিয়েই ভয়াবহকাণ্ড ঘটে। আচমকাই পোশাকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এরপরে মুহূর্তে সেই আগুন তাঁর শরীরেও ছড়িয়ে যায়। কিছু করে ওঠার আগেই ওই মহিলার শরীরের অর্ধেকের বেশি অংশই পুড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এরপরেই আর একটুকুও দেরি না করে অগ্নিদগ্ধ ওই মহিলাকে আপদকালীন চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে (Air Ambulance ) করে গঙ্গাসাগর থেকে হাওড়া ডুমুরজলা হেলিপ্যাড আনা হয়েছে।
বুধবার গভীর রাতে বছর পয়তাল্লিশের স্বর্ণলতা মন্ডল নামের এক মহিলা তার শিশুকে নিয়ে গঙ্গাসাগরের শীতের রাতে আগুন জ্বেলে আগুন পোয়াচ্ছিলেন। আচমকাই সেই সময় কোনওভাবে আগুন তার পোশাকে লেগে যায়। পোশাক থেকে মুহূর্তে তার শরীর জ্বলতে থাকে। ওই আগুনে তার শরীরের প্রায় ৫৪ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ হয়ে যায়। সেই অবস্থায় তাঁকে আপদকালীন চিকিৎসার জন্য সেই মহিলাকে এয়ার এম্বুলেন্সে করে গঙ্গাসাগর থেকে হাওড়া ডুমুরজলা হেলিপ্যাড আনা হয়েছে এবং সেখান থেকেই গ্রিন করিডোর করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁকে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসক জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। ঘটনা প্রসঙ্গে চিকিৎসক সবুজ বালা জানান, ওই মহিলা গঙ্গাসাগর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা। তিনি মেলাতে এসেছিলেন। গতকাল রাতে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে আগুনের সামনে বসে উষ্ণতা নিচ্ছিলেন। কোলে তাঁর একটি শিশু সন্তান ছিল। আচমকাই হওয়ার দাপটে আগুন তার শীতের পোশাকে ধরে যায়। মুহুর্তে সেই আগুন তার শরীরের সামনের দিকে লাগে। তার প্রায় ৫৪ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ হয়ে গেছে। এরপরই তাকে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে আপদকালীন চিকিৎসা করা হয়। আজ সকালে তাকে এয়ার এম্বুলেন্স দিয়ে হাওড়াতে আনা হয়েছে। তিনি দাবি করেন যেহেতু অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন ওই মহিলা। তাই তাকে বার্ন ইউনিটে রাখা আবশ্যক। নাহলে যেকোনো ধরণের চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যবস্থা গঙ্গাসাগর মেলাতে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গঙ্গাসাগর মেলাতে ইতিমধ্যেই ভিড় জমাতে শুরু করেছেন পূর্নার্থীরা। পরশুদিন তারা গঙ্গাসাগরে স্নান সারবেন। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কোভিড বিধি নিষেধ মেনে স্নান সম্পূর্ণ করাতে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাই কোর্টের নিয়োজিত তিন সদস্যের কমিটির পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কিছু মন্ত্রীকে গঙ্গাসাগরে থাকার জন্য ইতিমধ্যেই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।