সংক্ষিপ্ত

শাসকদল থেকে শুরু করে বিরোধীরা এখন জোরকদমে প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে সব রাজনৈতিক দলগুলি। আসলে এই সময় প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে চাইছেন না তাঁরা। বাঁকুড়া জেলাজুড়ে এখন ভোট নিয়ে রীতিমতো সাজোসাজো রব রয়েছে। 

পুরভোটের (Municipal Election) দামামা বেজে গিয়েছে। রাজ্যের চার পুরনিগমের (Municipal Corporation Election) ভোটের পরই বকেয়া পুরসভায় ভোট হবে। আর সেই কারণেই শাসকদল (TMC) থেকে শুরু করে বিরোধীরা এখন জোরকদমে প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে সব রাজনৈতিক দলগুলি। আসলে এই সময় প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে চাইছেন না তাঁরা। বাঁকুড়া (Bankura) জেলাজুড়ে এখন ভোট নিয়ে রীতিমতো সাজোসাজো রব রয়েছে। 

বাঁকুড়ার প্রাচীন মল্লগড় বিষ্ণুপুর পুরসভাতেও (Bishnupur Municipality) একই তৎপরতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। সেখানেও একইভাবে প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল ও বিজেপি (TMC and BJP)। একদিকে বিজেপির ভোট যুদ্ধের রণকৌশল ও প্রার্থী নিয়ে জোরদার প্রস্তুতি সারলেন বিজেপি সাংসদ। অন্যদিকে দেওয়ালে প্রতীক এঁকে এলাকায় জনসংযোগ তৈরি করলেন তৃণমূল বিধায়করা। বিষ্ণুপুরের পুরসভা নির্বাচনকে ঘিরে একে অপরকে আক্রমণ চলেছে এই প্রস্তুতিকে কেন্দ্র করে। তবে একে অপরকে আক্রমণ করলেও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী দুই দলই। 

এরই মধ্যে আবার বিষ্ণুপুরের পুরভোটের রণকৌশল ও প্রার্থী নিয়ে দলের বিধায়ক ও নেতাদের নিয়ে দলের অভ্যন্তরীণ বৈঠক করলেন বিষ্ণুপুর লোকসভার বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বিষ্ণুপুর শহরের কলেজ রোড এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, "বিষ্ণুপুর পুরসভার সব বুথে বিজেপি জিতবে।" বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ যিনি সদ্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাঁকে উদ্দেশ্য করে বিজেপি সাংসদের দাবি, "আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ এই গদ্দারকে হারানো এবং সেটাই করে দেখাবে বিজেপি।"

দলীয় প্রতীক এঁকে এলাকায় জনসংযোগ বৃদ্ধি করে বিষ্ণুপুরের পুরসভার ভোট যুদ্ধের আগাম প্রস্তুতি সেরে রাখছেন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসা বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। এদিন বিষ্ণুপুরের স্টেশন রোড সংলগ্ন এলাকায় দলীয় প্রচার সেরে বিজেপি সাংসদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি বলেন, "বিজেপি সাংসদ পরিযায়ী পাখি তাঁকে বিষ্ণুপুরের মানুষ দেখতেই পান না। বিজেপির লোক নেই, কর্মী নেই, প্রার্থী খুঁজতে বিজেপির সাংসদকে লুকিয়ে ছাদে বসে বৈঠক করতে হচ্ছে। বিষ্ণুপুরের ১৯টি ওয়ার্ড দখল করবে তৃণমূল বিজেপিকে বিষ্ণুপুর থেকে শূন্য হাতে ফিরে যাবে আশাবাদী বিধায়ক।"

২২ জানুয়ারি রাজ্যের চারটি পুরনিগমে ভোট হবে। তার মধ্যে বিধাননগর, চন্দননগর, শিলিগুড়ি ও আসানসোলে পুরোভোট হবে। আর এগুলির ফলপ্রকাশ হবে ২৫ জানুয়ারি। কিন্তু, রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলিতে ভোটের দিন এখনও পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়নি। তবে ভোটের দিন ঘোষণা না হলেও প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখছে না কোনও রাজনৈতিক দলই। সংগঠনকে চাঙ্গা করার কাজে প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে সমান তালে। বিজেপি থেকে শুরু করে, তৃণমূল, কংগ্রেস ও বামেরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে সবাই।