সংক্ষিপ্ত
মাটিয়া ধর্ষণকাণ্ডের পরপর ফের রাজ্যে নাবালিকাকে গণধর্ষণ। এবার জেলা মালদহ। হাইস্কুলের পেছনে একটি পরিতক্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ছাদে নিয়ে গিয়ে লাগাতার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
মালদহ-তনুজ জৈনঃ মাটিয়া ধর্ষণকাণ্ডের পরপর ফের রাজ্যে নাবালিকাকে গণধর্ষণ। এবার জেলা মালদহ। শুক্রবার গভীর রাতে মেলা থেকে এক ১৩ বছরের নাবালিকাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে গণ-ধর্ষণের ঘটনা সামনে এয়েছে। পুলিশের তৎপরতায় ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক আরো ৩। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের শালদহ এলাকায়। এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা জুড়ে। এদিন হরিশ্চন্দ্রপুর থানাতে এই ঘটনার অভিযোগ দায়ের করেছেন ধর্ষিতা নাবালিকার মা। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা জুড়ে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে এলাকায় কড়া তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
হাইস্কুলের পেছনে নিয়ে নাবালিকাকে লাগাতার গণধর্ষণ
স্থানীয় ও নাবালিকা পরিবার সূত্রে খবর হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার চন্ডিপুরের পাশের গ্রাম উত্তর শালদহ এলাকায় উরুষের মেলা চলছিল। সেখানেই ওই ধর্ষিতা নাবালিকা পরিবারের সঙ্গে মেলা দেখতে যায়। রাত বারোটা নাগাদ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ওই নাবালিকা মেলার পাশে ফাঁকা মাঠে গেলে, সেখানেই কয়েকজন যুবক ওই মেয়েটির মুখে কাপড় জড়িয়ে তাকে সেখান থেকে নিয়ে মোটর-সাইকেলে করে পালিয়ে যায়। কয়েক কিলোমিটার দূরে চন্ডিপুর হাই স্কুলের পেছনে একটি পরিতক্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ছাদে নিয়ে গিয়ে লাগাতার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। নাবালিকা মেয়েটি ধর্ষণের ফলে সেখানে জ্ঞান হারালে অভিযুক্তরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। বাড়ির লোক খবর পেয়ে অচৈতন্য অবস্থায় ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে। ওই নাবালিকা এলাকার একটি মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী বলে জানা গেছে। ঘটনার পরই স্থানীয় পুলিশের তৎপরতায় ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে,বাকি ৩ যুবক পলাতক।
মাটিয়াকাণ্ডের ছায়া মালদহে
এদিন হরিশ্চন্দ্রপুর থানা তে এই ঘটনার অভিযোগ দায়ের করেছেন ধর্ষিতা নাবালিকার মা। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা জুড়ে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে এলাকায় কড়া তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত, মালদহের এই ঘটনার কয়েকদিন আগেই মাটিয়া ধর্ষণ কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য। ঘটনার পরেই মাটিয়া কাণ্ডে নির্যাতিতার মাসী ও তার প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে মাটিয়া থানার পুলিশ। বসিরহাট মহকুমা আদালত ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতে নির্দেশ দিয়েছে। বর্তমানে দুজনেই আদালতের বিচারাধীন। এখানেই সেই একই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি তারা এই নির্যাতিতার ঘটনাকে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটার অভিযোগ তুলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। বিক্ষোভ অবস্থান স্মারকলিপি প্রদান প্রভৃতি একাধিক ভাবে দরবার করেছেন প্রশাসনিক মহলে।