সংক্ষিপ্ত
- বিজেপিকে ভোট না দেওয়ায় তৃণমূল কর্মীকে হামলা
- বাড়ি ভাঙচুর,মারধর,বাড়ি লুটপাট করার অভিযোগ
- মালদহে এই অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে
- তীব্র কটাক্ষ এবং ভৎসনা করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব
বিজেপিকে ভোট না দেওয়ায় মালদহে তৃণমূল কর্মীর উপর হামলা। বাড়ি ভাঙচুর,মারধর,বাড়ি লুটপাট করার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। এনিয়ে তীব্র কটাক্ষ শাসকদলের। নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে এই মুহূর্তে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। বিভিন্ন জায়গায় প্রধান বিরোধী দল বিজেপি অভিযোগ করছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। এমনকি যা নিয়ে মুখ খুলেছেন স্বয়ং রাজ্যপাল। কিন্তু এবার দেখা গেল উল্টো ছবি। তৃণমূলের মহিলা কর্মীকে মারধর এবং তার বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন, ফের 'কাটমানি'-র তিরে বিদ্ধ তৃণমূল, ভিডিও ভাইরাল হতেই কটাক্ষ BJP-র
\
যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি বিজেপির। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ এবং ভৎসনা করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ জেলার হরিশচন্দ্রপুর কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উত্তর রামপুর গ্রামে। ওই গ্রামের বাসিন্দা কলাবতী দাস গ্রামের একমাত্র তৃণমূল কর্মী। বিজেপিকে ভোট না দেওয়ায় ভোটের পর থেকেই তার উপর অত্যাচার করছে বিজেপি কর্মীরা। তার পাকা বাড়ি তৈরির কাজ চলছিল। অভিযোগ সেই বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বাড়িতে ইট,পাথর ছোড়া হচ্ছে। বাড়িতে লুটপাট চালানো হয়েছে। স্বামী অসুস্থ, ছেলে বাড়িতে বেশির ভাগ সময় থাকে না। ফলে প্রচন্ড আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে ওই মহিলা তৃণমূল কর্মীর।
আরও পড়ুন, রাজ্য়ে কোভিডে একদিনে মৃত্যু কমে ৩২, ভরা বর্ষায় ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত একাধিক
ওই গ্রামেরই বাসিন্দা বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। দিনমজুরের কাজ করেন তিনি। অভাবের সংসার। তার ওপরে এই অত্যাচার, ভাংচুরের ফলে প্রচন্ড কষ্টের মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে তার। কলাবতী দাসের দাবি তিনি এক মাত্র গ্রামে তৃণমূল করেন। বাকি সকলে বিজেপি। তাই পরিকল্পনামাফিক তার উপরে এই অত্যাচার করা হচ্ছে।ভাংচুরের এই ভিডিও বেশ কিছুদিন আগের। অভিযোগ ভিডিও সংবাদমাধ্যমের কাছে আসতেই তাদের বাড়িতে পাথর ছোড়া শুরু হয়েছে। যদিও তৃণমূলের কোন নেতাকে এই মহিলার পাশে দাঁড়াতে এখনও দেখা যায়নি। তবে দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তৃণমূল কর্মী কলাবতী দাস বলেন,' আমি গ্রামের একমাত্র তৃণমূল।১৫-১৬ বছর ধরে দল করছি। বাকি সকলে বিজেপি। বিজেপিকে ভোট দিই নি তাই আমার উপর অত্যাচার করছে। ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেছে। প্রচন্ড আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে। প্রশাসন এবং দলকে জানিয়েছি। দল বলেছে ব্যবস্থা করবে।"তৃণমূলের মালদা জেলার সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান বলেন," ঘটনাটি জানতে পেরেছি। দলের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা এরকম করছে আইন অনুযায়ী প্রশাসনকে বলবো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। এটাই বিজেপির সংস্কৃতি। কিন্তু হরিশ্চন্দ্রপুরের মাটিতে এই রাজনীতি চলবে না।'
আরও পড়ুন, ১০ বছরেও মেলেনি সরকারি ঘর, বর্ষায় ভেসে যাওয়ার দশা, প্রতিবাদে 'নগ্ন' হলেন ছোটু
বিজেপির মালদা জেলা সম্পাদক কিষান কেডীয়া বলেন,' এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমরা রাজনৈতিক সন্ত্রাসকে সমর্থন করিনা। দলের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হবে। যদিও কেউ যুক্ত থাকে তাহলে দল তাদের পাশে দাঁড়াবে না। আইনের কাজে আমরা বাধা দিই না।' আইন আইনের পথে চলবে।প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকে মনে রাখতে হবে এই দেশ গণতান্ত্রিক দেশ। কে কাকে সমর্থন করবে সেটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যক্তিগত অধিকার। কেউ ভিন্ন রাজনৈতিক দল করলে তার ওপর অত্যাচার খুব নিন্দনীয়। গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় এটা কখনোই কাম্য নয়।