সংক্ষিপ্ত

উত্তরবঙ্গ সফরে দিয়ে অমিত শাহ বলেব, কোভিড-১৯ এই মহামারি শেষ হলেই এই নাগরিকত্ব সংশোধন আইন বা সিএএ লাগু করা হবে। কোভিড সংক্রমণে জন্যই এই কাজ বন্ধ কয়েছে। পাশাপাশি তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়য়কে গুজব না ছড়ানোর আবেদনও জানিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অমিত শাহর বাংলা সফরকে কেন্দ্র করে আবারও উঠে এল নাগরিক সংশোধনী আইন-র প্রসঙ্গে। ২০১৯ সালে এই পাশ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তারপর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও এই আইন লাগু করা হয়নি। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য এই আইন লাগু করা হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে অমিত শাহ জোর দিয়ে বলেন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু করা হবে। যদিও তার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন এই রাজ্যের মানুষকে তিনি অপমান করতে দেবেন না। 

উত্তরবঙ্গ সফরে দিয়ে অমিত শাহ বলেব, কোভিড-১৯ এই মহামারি শেষ হলেই এই নাগরিকত্ব সংশোধন আইন বা সিএএ লাগু করা হবে। কোভিড সংক্রমণে জন্যই এই কাজ বন্ধ কয়েছে। পাশাপাশি তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়য়কে গুজব না ছড়ানোর আবেদনও জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'আমি উত্তরঙ্গে এসেছি। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে তৃণমূল কংগ্রেস গুজব ছড়াচ্ছে। বলছে সিএএ কার্যকর হবে না। কিন্তু আমি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিচ্ছি কোভিড শেষ হয়ে গেলেই সিএএ কার্যকর হবে।' এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি আক্রমণ করে বলেন, 'মমতা দিদি আপনি অনুপ্রেবেশ চালিয়ে যেতে চাইছেন। কিন্তু এটা বস্তব যে আর বেশিদিন এভাবে চলবে না। তৃণমূল কংগ্রেস কিছুই করতে পারে না। সিএএ কার্যকর হবেই।'

এদিন  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহকে আক্রমণ করে বলেছেন, নাগরিকদের অপমান তিনি কিছুতেই মেনে নেবেন না। দেশকে টুকরো টুকরো করতে চায় বিজেপি। 'আমরা সিএএ এনপিএ চাই না।' এখানেই শেষ করেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বিজেপির যদি সিএএ আনার পরিকল্পনা থাকত তাহলে তারা সংসদে বিল আনত। কিন্তু তারা সেটা করছে না। বিজেপির টার্গেট ২০২৪ সাল। তিনি আরও বলেন, 'প্রত্যেকবারই তারা এখানে আসে নোংরা কথা বলতে।'

২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরই সিএএ নিয়ে উদ্যোগ নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বিজেপির বিরোধীরা এই আইনকে বৈষম্যমূলক বলেও দাবি করেন। এই আইনে বলা হয়েছে ২০১৫ সালের আগে পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যেসব অমুসলিম অভিবাসীরা ভারতে এসেছিল তাদেরও শুধুমাত্র নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই আইনের মাধ্যমে মুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না বলেও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই আইনের প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন হয়েছিল দিল্লিতে। উত্তর প্রদেশে মহারাষ্ট্রসহ এই রাজ্যেও একাধিক এলাকায় এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিল বহু মানুষ । কিন্তু কোভিডের কারণে তারা সেই আন্দোলন প্রত্যাহার করে।