সংক্ষিপ্ত
আনিস খানের দ্বিতীয় ময়না তদন্ত শেষে আমতা ফিরছে দেহ। দীর্ঘ ৪ ঘন্টা ধরে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে, বিভিন্ন দিক থেকে মোট ১১ টি এক্স-রে করা হয়েছে।
আনিস খানের দ্বিতীয় ময়না তদন্ত শেষে আমতা ফিরছে দেহ। দীর্ঘ জল ঘোলার পর আনিসহত্যাকাণ্ডের (Anis Khan Murder Case) কিনারা করতে কবর থেকে তুলে দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দ্বিতীয়বারের জন্য ময়না তদন্ত করতে। জানা গিয়েছে, ৪ ঘন্টা ধরে ময়নাতদন্ত (Post mortem) করা হয়েছে। বিভিন্ন দিক থেকে মোট ১১ টি এক্স-রে করা হয়েছে। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত শেষে এবার আমতায় ফিরিয়ে যাওয়া হচ্ছে আনিসের দেহ। এদিনই কবর দেওয়া হবে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।
সোমবার সকালে দ্বিতীয়বারের জন্য আনিসের দেহ তুলতে আমতায় যান সিটের আধিকারিকরা। সেই সময় জেলা আদালতের বিচারক ঘটনাস্থলে না এলে দেহ তোলা যাবে না বলে জানান আনিসের দাদা। এরপর ফের নতুন করে তৈরি হয় জটিলতা। যদিও শেষঅবধি ঘটনাস্থলে পৌছন জেলা আদালতের বিচারক। তার উপস্থিতিতেই তোলা হয় আনিসের দেহ। এরপরেই গ্রিণ করিডোরে মাধ্যমে দুপুরে আনিসের দেহ নিয়ে আসা হয় এসএসকেম-এ। বিকেল ৪ নাগাদ শুরু হয় ময়নাতদন্ত। এসএসকেম-এ ফরেন্সিক মেডিসিন এবং টক্সিকোলজির সহকারি অধ্যাপক ইন্দ্রানী দাস-সহ মোট ৩ জন চিকিৎসকের উপস্থিতি ময়নাতদন্ত চলে। প্রথমে এক্সরে করা হয়। এরপরেই কাটাছেড়া করা হয় আনিসের দেহ। রাত ৮টা ২৫ মিনিটে শেষ হয় ময়না তদন্তের প্রক্রিয়া। এরপরেই আমতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে আনিসের দেহ। তবে দ্বিতীয় রিপোর্ট আসার আগে অবধি কোনও কথা বলতে রাজি হননি আনিসের ভাই সলমান খান।
আরও পড়ুন, সোমবারের বদলে শনিবার কেন, আনিসের দেহ তুলতে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পুলিশ
প্রসঙ্গত, আনিস হত্যাকাণ্ডে মৃত যুবকের বাবা সালাম খানের অভিযোগ থেকে জানা গিয়েছে, পুলিশের পোশাক পরিহিত ৪ জন লোক বাড়ির ভেতরে ঢুকে আনিসকে খুন করে। পরিবার সূত্রে খবর আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া আনিস আগাগোড়া কলকাতাতেই থাকতেন। তিন দিন আগে তিনি বাড়িতে আসেন। শুক্রবার সন্ধ্যাবেলা পাড়ার একটি জলসাতে গিয়েছিলেন। এরপরে গভীর রাতে বাড়ি ফেরেন তিনি। তার কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ চার জন লোক রাত ১টা নাগাদ তাঁদের বাড়িতে যান। ওই চারজনের মধ্যে একজন পুলিশের পোশাক পরা থাকলেও বাকিদের শরীরে জলপাই রঙের পোশাক পরা ছিল। আমতা থানার পুলিশ পরিচয় দিয়ে তারা তিনতলা থেকে আনিসকে ফেলে দেয়। এরপরেই মৃত্যু হয় আনিসের।
ময়নাতদন্তে মূলত একাধিক বিষয়গুলিতে আলোকপাত করা হবে। অভিযোগ অনুযায়ী আনিসকে ছাদ থেকে ছুড়ে ফেলা হয়েছিল। এমন ঘটনায় শরীরের পাজর বা অন্য কোনও হাড় ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই বিষয়টি দেখা হবে যে, আনিসের হাড় ভেঙে গিয়েছে কিংবা চিড় খেয়েছে কিনা। ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছে কিনা, কারণ মৃত্যুর সময় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। এছাড়া আনিসের শরীরে অন্য কোনও রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা, এই সকল বিষয়েই চিকিৎসকদের প্রশ্ন করবে সিট। আর এবার দ্বিতীয়বারের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্য়ু রহস্য ভেদ করা যাবে বলে অনুমান তদন্তকারীদের।