সংক্ষিপ্ত

আনিস খান হত্যাকাণ্ডে ইতিমধ্যেই উত্তাল শহর।  ঘটনার দিন গ্রেফতার হওয়া আমতা থানার হোমগার্ড কাশিনাথ বেরা এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার কাশিনাথ ভট্টাচার্যের কী ভূমিকা ছিল,  বড় বার্তা দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি অমিত মালব্য। 

 

আনিস খান হত্যাকাণ্ডে ( Anis Khan Murder Case) ইতিমধ্যেই উত্তাল শহর। এখনও অবধি ২ জন পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নবান্ন থেকে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। আর এর ঠিক পরেই ঘটনার দিন গ্রেফতার হওয়া আমতা থানার হোমগার্ড কাশিনাথ বেরা এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার কাশিনাথ ভট্টাচার্যের কী ভূমিকা ছিল, তা মুখ খুলতে না চাইলেও অন্য বার্তা দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি অমিত মালব্য (WB DG Amit Malviya)। 

রাজ্য পুলিশের ডিজি অমিত মালব্য বলেছেন, 'আবার ময়না তদন্ত করতে চায় পুলিশ। কিন্তু তাতে রাজি হচ্ছে না পরিবার। আনিস খানের মোবাইল ফোনও দেওয়া হচ্ছে না। তাই তদন্তে অসুবিধা হচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করুক পরিবার', এমনই আবেদন করেছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। 'সিটকে কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে', বলেও অভিযোগ। এরপরেই রাজ্য পুলিশের ডিজি অমিত মালব্য-র সংযোজন,' ১৫ দিনের মধ্যেই আপনাদের সামনে সব তথ্য সামনে চলে আসবে।' উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আনিস মৃত্যু কাণ্ডে সিট গঠন হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেছেন, 'আনিসের মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আনিস আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। আমি এই ধরনের ঘটনা পছন্দ করিনা পরিবারকে বলছি আমার উপর বিশ্বাস রাখুন। ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে সিট।' এখনও অবধি ২ জন পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে বুধবার নবান্ন থেকে জানিয়েছেন  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।

আরও পড়ুন, '১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে সিট', আনিস হত্যাকাণ্ডের ইস্যুতে বার্তা মমতার

হাওড়া জেলার পুলিশ সুপার আনিস খানের বাড়িতে পুলিশ প্রবেশের বিষয়টি আগেই খারিজ করেছিলেন। কিন্তু ডিজি জানিয়েছিলেন, তদন্ত সম্পূর্ণ হওয়ার আগে পুলিশ সন্দেহের উর্ধ্বে নয়। আর সেই সূত্রেই এবার গ্রেফতার হলেন আমতা থানার হোমগার্ড কাশিনাথ বেরা এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার কাশিনাথ ভট্টাচার্য। এদিন নবান্ন থেকে মমতা বলেন, 'আমতায় তদন্ত প্রক্রিয়া সবে শুরু হয়েছে। এখনও আমরা জানি না, আসল ঘটনা ঠিক কী ঘটেছিল। দ্বিতীয়বার পুলিশ গিয়েছিল, ময়নাতদন্তের জন্য। কিন্তু তাঁদের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাঁদের বাধা দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও অভিযোগের ভিত্তিতে দুই জন পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।'

প্রসঙ্গত, মৃত যুবকের বাবা সালাম খানের অভিযোগ থেকে জানা গিয়েছে, পুলিশের পোশাক পরিহিত ৪ জন লোক বাড়ির ভেতরে ঢুকে আনিসকে খুন করে। পরিবার সূত্রে খবর আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া আনিস আগাগোড়া কলকাতাতেই থাকতেন। তিন দিন আগে তিনি বাড়িতে আসেন। শুক্রবার সন্ধ্যাবেলা পাড়ার একটি জলসাতে গিয়েছিলেন। এরপরে গভীর রাতে বাড়ি ফেরেন তিনি। তার কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ চার জন লোক রাত ১টা নাগাদ তাঁদের বাড়িতে যান। ওই চারজনের মধ্যে একজন পুলিশের পোশাক পরা থাকলেও বাকিদের শরীরে জলপাই রঙের পোশাক পরা ছিল। আমতা থানার পুলিশ পরিচয় দিয়ে তারা তিনতলা থেকে আনিসকে ফেলে দেয়। এরপরেই মৃত্যু হয় আনিসের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে রয়েছে রাজ্য-রাজনীতি।