সংক্ষিপ্ত

  • উত্তরবঙ্গে এই মুহূর্তে করোনার কেন্দ্রস্থল মালদহ এবং দুই দিনাজপুর
  • গত কয়েকদিন ধরেই এই তিন জেলাতেই করোনা আক্রান্ত মিলছে
  • যদিও, যারা করোনা আক্রান্ত তারা সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক
  • রবিবারও এক দফায় মোট ১০ জনের শরীরের করোনা ভাইরাস মিলেছে

নতুন করে মালদহ জেলায় ৮ করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলল। একই সঙ্গে উত্তর দিনাজপুরেও ২ করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। সবমিলিয়ে রবিবার মালদহ ও উত্তর দিনাাজপুরে ১০ করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। দিন কয়েক আগেই দক্ষিণ দিনাজপুরেও ৩ করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল। সবমিলিয়ে মালদহ, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর মিলিয়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫। এর মধ্যে একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। 

মালদহ জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর নতুন করে যে ১০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে, তাদের সোয়াব টেস্টের নমুনা গৌড় কন্যা বাসস্ট্যান্ড থেকেই সংগ্রহ করা হয়েছিল। এইখানে মোট ৩২২ জনের লালারস সংগ্রহ করেছিলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তারমধ্যে থেকে ১০ জনের শরীরে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর বাকি ৩১২ জনের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি। সবমিলিয়ে কিউমিলেটিভভাবে মালদহে ৬৩২৩-বার লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে ৫৯৬৪ টি পরীক্ষা নেগেটিভ হয়েছে, মানে এই লালারসে ভাইরাস মেলেনি। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর রবিবার রাত পর্যন্ত ৯৩২টি নমুনা নতুন করে পরীক্ষা হচ্ছে। এরমধ্যে ৫১৫টি নমুনার পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। যদিও, এর ফল এখনও আসেনি। এছাড়াও ২৬০৮টি নমুনা-র পরীক্ষাও এখনও বাকি আছে বলে জানানো হয়েছে। 

মালদহ জেলায় নতুন করে যে পরিযায়ী শ্রমিকদের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে তারমধ্যে মানিকচকের গোপালপুরে ৩ জন, হরিশ্চন্দ্রপুরে ১ নম্বর ব্লকে ১ জন, মানিকচকে ২ জন, কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকে ১ জন এবং চাঁচল ২ নম্বর ব্লকে ১ জন রয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের আক্রান্তদের ঠিকানা সম্পর্কে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। দিন কয়েক আগেই উত্তর দিনাজপুরে আরও ৩ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল। এর আগে সপ্তাহ দেড়েক আগে উত্তর দিনাজপুরে আরও তিন জনের শরীরে ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলে। ফলে এই মুহূর্তে উত্তর দিনাজপুরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা ৬। দক্ষিণ দিনাজপুরও করোনা আক্রান্তের তালিকায় খাতা খুলেছে। তবে, দক্ষিণ দিনাজপুরের যে স্থানে করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে তা উত্তর দিনাজপুর জেলার লাগোয়া। এঁরা সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক এবং একইসঙ্গে ঘরে ফিরেছে।